শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

লেকহেড স্কুল আরো ১০ দিন বন্ধ থাকছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৭, ৬:২০ পিএম

রাজধানীর ধানমন্ডি ও গুলশানের লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ ১০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির বেঞ্চ গতকাল রোববার এ আদেশ দেন। ফলে আরো ১০ দিন স্কুলটি বন্ধ থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করে এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার আখতার ইমাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবদুল বাসেত মজুমদার ও আব্দুল মতিন খসরু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আদালতে শুনানি শুরু হওয়ার পর আদালত বলেন, আমরা গোয়েন্দা প্রতিবেদন পড়েছি। সিক্রেট এই প্রতিবেদনে আমরা গুরুতর অভিযোগের বিষয় দেখছি। এসময় স্কুলের পক্ষে থাকা আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, মাই লর্ড। অভিযোগ কিছু থাকলে থাকতে পারে। কিন্তু স্কুলের ১১শ বাচ্চার কি হবে? তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে না। স্কুল বন্ধ থাকতে পারে না। যদি কারো বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যক্রমের অভিযোগ থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। যে কোন পদক্ষেপ নেয়া হোক। কিন্তু স্কুল তো বন্ধ হতে পারে না? এরপর আদালত বলেন, ‘আমরা চাই দেশ বাঁচুক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলুক। পরে এ এফ হাসান আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, আদালত বলছে- এ স্কুলের বিষয়ে ক্লাসিফাইড রিপোর্ট আছে। আমরা বলেছি এখানে ১১শ’ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জড়িত। যদি স্কুলের কেউ জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তাদের খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
এরপর আদালত আরও দশদিন স্কুল বন্ধর রাখার আদেশ দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে বর্তমান ম্যানেজমেন্টের কেউ বা স্কুলের শিক্ষকদের কেউ জঙ্গিবাদে জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে আদালতে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এর মধ্যে লিভ টু আপিলও করতে বলেছেন। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন। এর আগে ১৪ নভেম্বর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই স্কুলের ধানমন্ডি ও গুলশানের শাখা খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। তবে লেকহেড স্কুল কর্তৃপক্ষকে জঙ্গিবাদসহ যেকোনো বিষয়েই সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করার নির্দেশও দেয়া হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ১৯ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানোর আদেশ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন