নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা ঃ ৮ম শ্রেণীর মাদরাসার ছাত্রীকে পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ে দিতে অপারগতা প্রকাশ কথিত প্রেমিক প্রেমিকার ১৩ মাসের ছোট বোনকে অপহরণের ১৭ ঘন্টা পর উদ্ধার এবং অপহরণকারী প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে নেত্রকোনা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পুলিশ জানায়, নেত্রকোনা পৌরসভার মইনপুর এলাকার জুয়েল মিয়ার পরিবারের সাথে সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়নের তারাকুড়ি গ্রামের সোনাফর আলীর পুত্র নন্দীপুর কারিগরি কলেজের ডিপ্লোমার ছাত্র সাজ্জাদুর রহমানের পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে বাসায় আসা যাওয়া করতো। এরই মধ্যে সাজ্জাদের সাথে জুয়েল মিয়ার কন্যা লতিফা আব্বাছ মহিলা মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী জাকিয়া আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি জাকিয়ার পরিবারের লোকজন জানাজানির পর সাজ্জাদকে বাসায় আসতে নিধেষ করে। সাজ্জাদ জাকিয়াকে বিয়ে করার জন্য তার বাবা জুয়েল মিয়া ও মা তুহিন আক্তারের কাছে প্রস্তাব দেয়। মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ায় পরিবারের লোকজন এই মূহুর্তে বিয়ে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। সুচতুর সাজ্জাদ গত শুক্রবার রাতে জুয়েল মিয়ার বাসায় এসে ওৎ পেতে থাকে। রাত তিনটার দিকে মা তুহিন আক্তার প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হলে সাজ্জাদ প্রেমিকা জাকিয়ার ছোট বোন ১৩ মাসের মারিয়া আক্তারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সে ফোনে জাকিয়ার বাবা মাকে মেয়েকে বিয়ে দিলে বাচ্চা ফেরত দিবে বলে জানায়। পরিবারের লোকজন বিষয়টি থানায় জানালে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারী অবস্থান সনাক্ত করে গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলমাকান্দা উপজেলার সিধলী থেকে অপহৃতা শিশু মারিয়াকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার এবং অপহরণকারী সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আমীর তৈমুর ইলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন