বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না থাকলে স্বাধীনতা বিলীন হবে -ইসলামী ঐক্যজোট

প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ২৮ বৎসরের একটি পুরানো মামলা সচল করে দেশের উচ্চ আদালত হাইকোর্টে দায়ের করা রিট আগামী ২৭ তারিখ শুনানীর জন্য কার্যতালিকা নথিভুক্ত করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুলাহ বাবুনগরী ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী।
গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে কি থাকবে না তার ভাগ্য নির্ধারণ হবে এই রিটের শুনানীর মাধ্যমে। শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের এই দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে নিয়ে রিট আবেদন, আদালতের শুনানী কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাই বিস্ময় প্রকাশ ও হতাশা ব্যক্ত করে নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা হতাশ হলেও আশাম্বিত যে, প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবর্গ এবং স্পীকার মহান জাতীয় সংসদের সদস্যবৃন্দ যেহেতু মুসলমান সেহেতু রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র হলে তাদের পক্ষ থেকেই প্রতিবাদ আসবেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইসলামের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ তার সরকার করবে না। যদি তাই হয় তবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দেয়ার যে পাঁয়তারা চলছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগী হতে হবে এবং যে কোন মূল্যে সংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে রাখতেই হবে। নেতৃদ্বয় এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর জোড়ালো হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে সারাদেশের মানুষ গর্ববোধ করে। তাই বাংলাদেশের মানুষ নাস্তিকতাবাদকে কখনও গ্রহণ করবে না। পৃথিবীতে সংখ্যাগুরুর ভিত্তিতে রাষ্ট্রধর্ম অনেক রাষ্ট্রে রয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল, ভূটান, শ্রীলংকাতে রাষ্ট্রধর্ম বৌদ্ধ যেহেতু তাদের সংখ্যাগুরু জনগণ বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী।
এভাবে পৃথিবীর ২৭ দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও ২৮টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম খ্রিস্টান রয়েছে। বিগত সময়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ায় আমাদের দেশের সংখ্যালগু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান তাদের ধর্মীয় কোন কাজ করতে কোন ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হয় নাই বা রাষ্ট্রীয়ভাবেও তারা কোন রকম সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় নাই। তারপরেও হাইকোর্টের ঘাড়ে বন্দুক রেখে যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দেয়ার কোন ষড়যন্ত্র হয় তবে এটা ধর্মীয় উস্কানী দিয়ে সরকারকে বিব্রত করার একটি অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন