ময়মনসিংহ-৫ আসনের এমপি সালাহউদ্দিন আহম্মেদ মুক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার দুদকের সচিব মো: শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে মুক্তি নির্বাচন কমিশনে হলফনামার মাধ্যমে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সম্পদ কম দেখিয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামার মাধ্যমে ৮টি তথ্য জমা দেন এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি। সেখানে তিনি তার স্থাবর ও অস্থাবর মিলে মোট সাড়ে চার লাখ টাকার সম্পত্তি আছে বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু দুদক বলছে, নির্বাচন কমিশনে সম্পদের হিসাব দেয়ার আগে গত ৩০ জুন ২০১৩ সালে উপকর অঞ্চল সার্কেল-৬এ (মুক্তাগাছা) স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ৪ হাজার বলে উল্লেখ করেন। তা ছাড়া তার বাবার কাছ থেকে পাওয়া তিন লাখ টাকার সম্পদের তথ্যও নির্বাচন কমিশন এবং আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করেননি। দুদক এ ধরনের অসত্য হলফনামা দাখিলকে নৈতিকতা পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইন (আরপিও) অনুযায়ী, হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে ভোটের আগে এ তথ্য প্রমাণিত হলে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে। আর ভোটের পর কোনো তথ্যের অমিল পেলে সংশ্লিষ্ট এমপির সংসদ সদস্যপদ বাতিল করতে পারে। এ অপরাধে সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে তা স্পিকারের দপ্তরে পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের। এরপর সংসদ সচিবালয় ওই আসন শূন্য ঘোষণা করতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন