কক্সবাজার অফিস : কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে সকাল থেকে ভোট ডাকাতির অভিযোগে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ফিরোজ খান চৌধুরী ভোট বর্জন করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি কেন্দ্রে অস্ত্রধারী জলদস্যু সন্ত্রাসীরা ধানের শীষের এজেন্ট সমর্থকদের মারধর করে বের করে দিয়েছে। এতে পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতা রয়েছে।
প্রার্থী ফিরোজ খানের বড় ভাই কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী জানান, সোমবার থেকে সরকার দলীয় এমপি আশেক উল্লাহ রফিক কুতুবদিয়ায় অবস্থান করছেন। তিনি প্রশাসনকে প্রভাবিত করে নির্বাচনে কারচুপির প্রি-প্লান করেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার প্রমাণ পেলাম। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুচ্ছফার লোকজন পূর্ব আলী আকবর ডেইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইফাদ সাইক্লোন সেন্টার, খুদিয়ার টেকাপাড় প্রাইমারী, পূর্ব তবালের চর রেড ক্রিসেন্ট সাইক্লোন সেন্টারসহ ৭টি কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। জলদস্যু, ডাকাত, পুলিশ প্রশাসন, নৌকার প্রার্থী, এমপি এরা সবাই মিলে ভোট ডাকাতি করছে। আমাদের লোকজনকে মারধর করে বের করে দিয়েছে। কারো কাছে প্রতিকারও চাওয়ার সুযোগ নেই ।
অপরদিকে একই উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ মোবারক হোসেনও নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বড়ঘোপ ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮টি কেন্দ্র নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এড. ফরিদুল ইসলাম দখল করে নিয়েছেন।
এদিকে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের বিএনপি এজেন্টকে বের করে দিয়ে সরকার দলীয়রা প্রার্থীর লোকজন ৪টি কেন্দ্রের পূর্ণ দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী এনামুল কবির চৌধুরী।