শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সোনাপুর-সোনাগাজী-জোরালগঞ্জ সড়ক চালু হবে ২০১৯ সালে

বিশেষ সংবাদদাতা, নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নোয়াখালী-চট্রগ্রাম সড়ক যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে নির্মাণাধীন বহুল প্রত্যাশিত সোনাপুর-সোনাগাজী-জোরালগঞ্জ সড়ক আগামী ২০১৯ সালের প্রথমদিকে চালু হবে। এ লক্ষ্যে সড়ক নির্মাণ ও সেতু নির্মাণ পূরোদমে এগিয়ে চলছে। সড়কটির ছোট ফেনী নদী অংশে ৪৭১ মিটার দৈর্ঘ্য ফেনী নদী সেতুর নির্মাণকাজ ৭০% সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের মাঝামাঝিতে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বরে জানা গেছে। বহুল প্রত্যাশিত সড়কটি চালু হলে নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর ছাড়াও খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দেড় থেকে দুই কোটি অধিবাসী উপকৃত হবে। এতে সময় ও অর্থ দু’টোর সাশ্রয় ঘটবে।
জানা গেছে, সোনাপুর-জোরালগঞ্জ ৫৬.৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যসম্পন্ন সড়কটির নোয়াখালী অংশ ৩০.৫০ কিলোমিটার, ফেনী ১৯ কিলোমিটার এবং চট্রগ্রাম অংশে ৭ কিলোমিটারের মধ্যে নোয়াখালী ও ফেনী অংশের নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এতে সড়ক ও সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে সড়ক নির্মাণে ১৭২ কোটি এবং সেতু নির্মাণে ব্যয় ৭৪ কোটি টাকা। সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি ইতিমধ্যে সড়কের দু’পার্শ্বে ভূমির মূল্য বৃদ্বি পেয়েছে। সোনাপুর জোরালগঞ্জ সড়কটি ঘিরে এর দু’পাশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠার উজ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন শিল্পদ্যোক্তা প্রকল্প এলাকাসমূহ পরিদর্শন ও সম্ভাব্যতা যাছাই করেন। এব্যাপারে তারা ইনকিলাবকে জানান, যাবতীয় সূযোগ সুবিধা সম্বলিত চট্রগ্রামের মিরেশ্বরাই অঞ্চলে দেশের সর্ববৃহৎ ইপিজেড নির্মিত হচ্ছে। অপরদিকে সোনাপুর জোলারগঞ্জ সড়কের দুই পার্শ্বের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হলে এখানেও মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। সোনাপুর জোরালগঞ্জ সড়কটি চালু হলে নোয়াখালী অঞ্চলের সড়ক পথের যাত্রীরা মাত্র দেড় থেকে দুই ঘন্টার মধ্যে বন্দর নগরী চট্রগ্রামে যাতায়ত করতে পারবে। এতে প্রায় পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। এছাড়া লক্ষীপুর, চাঁদপুরসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের যানবাহনসমূহ এপথেই চলাচল করবে।
এবিষয়ে নোয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৗশলী বিনয় কুমার পাল ইনকিলাবকে জানান, সোনাপুর জোরালগঞ্জ সড়ক ও সেতু নির্মাণ ২০১৮ সালে সম্পন্ন হলে এটি ২০১৯ সালের জানুয়ারীতে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। তিনি আরো জানান, বন্দরী নগরী চট্রগামের সাথে যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষে সরকার গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি গ্রহন করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ইমতিয়াজ ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৪:২৬ এএম says : 0
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন