ঘৃতকুমারীর ব্যবহার বহু যুগ আগে থেকেই। তখন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এর নানাবিধ গুণের কথা মানুষ জানতে পেরেছে যা জানার ফলে ঘৃতকুমারী ব্যবহার করে পেয়েছেন অনেক রোগের সমাধান। ঘৃতকুমারীর ইংরেজি নাম-অষড়ব ঠবৎধ। এটা দেখতে অনেকটা কাঁটাওয়ালা ফণিমনসা বা ক্যাকটাসের মতো। দেখতে ক্যাকটাসের মতো হলেও এর রয়েছে নানাবিধ গুণাবলি। তাহলে আসুন জেনে নেই ঘৃতকুমারীর উপকারিতা সম্পকে- * ওজন কমায়- ঘৃতকুমারীর পাতার ভিতরের শাঁস ভালোভাবে জলের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে শরীরের ওজন কমে যাবে। * ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ- ঘৃতকুমারীর জুস ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। * পরিপাক তন্ত্রের সুস্থতা- নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস পানে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ হয়। ফলে দেহের পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তাছাড়া, ডায়ারিয়া সারাতেও ঘৃতকুমারীর রস দারুণ কাজ করে। * ক্লান্তি-অবসাদ দূর করে- নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস সেবনে শরীরের ক্লান্তি-অবসাদ দূর করে শক্তি জোগানসহ ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। * দূষিত পদার্থ অপসারণ- শরীর থেকে দূষিত পদার্থ অপসারণে ঘৃতকুমারীর রস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ওষুধির কাজ করে। ঘৃতকুমারীর রস সেবনের ফলে শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের মিশ্রণ ও খনিজ পদার্থ তৈরি হয় যা আমাদের চাপমুক্ত রাখতে এবং শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। * ব্যথা ও প্রদাহ দূর করে- ঘৃতকুমারীর রস হাড়ের সন্ধিকে সহজ করে এবং দেহে নতুন কোষ তৈরি করে। এছাড়া, হাড় ও মাংশপেশির জোড়াগুলোকে শক্তিশালী করে। সেই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ প্রশমনে সাহায্য করে। * একজিমা দূর করে- ঘৃতকুমারীর শাঁস প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক সপ্তাহ লাগালে একজিমা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। * পুড়ে গেলে- কোনো জায়গা যদি আগুনে পুড়ে যায় তাহলে টাটকা ঘৃতকুমারীর পাতার শাঁস ওই জায়গায় লাগালে চটজলদি আরাম পাওয়া যায়। ফলে ফোস্কা পড়ে না এবং চামড়ায় দাগ হয় না। * মেচেতা প্রতিরোধ করে- মুখের মেচেতার ওপর কিছু ঘৃতকুমারী পাতার রস রেখে দিলে ত্বক নরম হয়ে যায় এবং ক্ষতচিহ্ন দেখা যায় না। মুখের মেচেতা খুব গুরুতর হলে ঘৃতকুমারীর রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খান। প্রতিদিন দু’বার, প্রত্যেকবার ১০ মিলিমিটার করে। এছাড়া ঘৃতকুমারীর একটি পাতা, মধু ও একটি ছোট শশা মিশিয়ে মাস্ক করুন বা মেচেতার ওপর রেখে দিন। মেচেতা দূর হবে। * কোমরে ব্যথা- কোমরে ব্যথা হলে ঘৃতকুমারীর শাঁস অল্প একটু গরম করে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়। * ব্রণের দাগ- ঘৃতকুমারীর রস ব্রণের দাগ সারাতে খুবই উপকারী। এর কাজ হচ্ছে ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখা। এছাড়া, ঘৃতকুমারীর রস গরমে প্রশান্তি ও চুলের পুষ্টি দিতে কার্যকর। পাশাপাশি প্লীহা, যকৃৎ, কৃমি, বাত, বহুমূত্র, ক্ষুধামান্দ্য ও বদহজম দূর করতে এর তুলনা নেই।
ষ আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন