অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশের পোশাক কারখানাগুলো ‘সবুজ প্রযুক্তি’র আওতায় আনতে সরকার ও ক্রেতাদের সহায়তা চেয়েছেন পোশাক প্রস্তুতকারী এবং রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। পোশাক কারখানাগুলো ধীরে ধীরে ‘গ্রিন টেকনলজি’ বা সবুজ প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার পরিবেশ বান্ধব পোশাক কারখানা নির্মাণ বিষয়ে বিজিএমইএ ও কানাডিয়ান হাইকমিশন আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ সব কথা বলেন। বিজিএমইএ’র অ্যাপারেল ক্লাবে ‘গ্রিনিং আরএমজি এজ সিএসআর ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই সেমিনারে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে পরিবেশ রক্ষা ও কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলাকপাত করেন বিশেষজ্ঞরা।
আরএমজি খাতকে পরিবেশ বান্ধব করে গয়ে তুলতে চারটি বিশেষ দিক নিয়ে আলোচনা হয় সেমিনারে। গ্রিন মর্যাদা অর্জন করতে ধাপে ধাপে পদক্ষেপ বিষয়ে কথা বলেন পোশাক কারখানা একেএইচ গ্রæপের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন রেড কনসাল্টিং বাংলাদেশে’র ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আলেস্টার কুরি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শ্রমিক নিরাপত্তার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিলিপ প্রক্টর। আরএমজি খাতকে পরিবেশ সম্মত করতে স্নাতকপর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম সাজানোর বিষয়ে আলোকপাত করেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির উপ উপাচার্য আইয়্যূব নবী খান।
সেমিনারের শুরুতে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে দেশে ২৬টি পোশাক কারখানা এলইইডি কর্তৃক গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেয়েছে। আরও একশটির বেশি কারখানা ইউনাইটেড স্টেট গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলে (ইউএসজিবিসি) গ্রিন পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন