আজ মধ্য রাত থেকেই শেষ হচ্ছে রংপুর সিটি কপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারনা। তাই শেষ মুহূর্তের গণসংযোগ আর প্রচারণায় প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। দিনভর নগরীর বিভিন্ন পাড়ায়-মহল্লা চষে বেড়িচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থরা। একদিন পর আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কাঙ্খিত রসিক নির্বাচন। সে হিসেবে ইসির নির্দেশ মোতাবেক আজ মধ্যরাত থেকেই শেষ হবে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। গতকালই বহিরাগতদের নগর ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। নির্বাচন সুষ্ঠূুভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে প্রায় সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে চার স্তরের নিরাপত্তাসহ নগরজুড়ে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে কয়েকদিন ধরেই অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় সব নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থী-সমর্থকরা। আজ একটু সকালেই গনসংযোগে বেরিয়েছেন প্রার্থীরা।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সিটির ভোটার নয়, এমন বহিরাগতদের সিটির বাইরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হোটেল মোটেলে যাতে কোন বহিরাগত রাতযাপন করতে না পারে সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে। ভোটের আগে-পরে এমনকি ভোটের দিন যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে, সেজন্য তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের খুঁজছে পুলিশ। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য নগরীকে চারটি ভাগে ভাগ করে নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে নম্বরবিহীন দুইশ মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে এমনটা দাবি করে রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, আমরা চাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। এজন্য বৃহৎ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রসিক নির্বাচনে ১’শ ৯৩টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯’শ ৯৪ জন ভোটার ভোট দেবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬’শ ৩৮ জন।
গভীর রাতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াঃ থানা ঘেরাও
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন