শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে তিন চাকার গাড়ি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ট্রাফিক পুলিশ। শিবগঞ্জ থ্রি-হুইলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিরুল খান জানান, সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভাপতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ঘোষণার পরেও শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে নবাবগঞ্জ সদরে তিন চাকার মাহিন্দ্রা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ। অথচ তিন চাকার যাত্রী পরিবহন গাড়ি অটো রিকশা, মিশুক, ভটভটি, সিএনজি গাড়ি নবাবগঞ্জ শহরে প্রবেশ করছে। কিন্তু মাহিন্দ্রা গাড়িতে যাত্রী নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। গেল নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজধানী রমনা পার্কে ইউরো আশিয়ানো রেস্তোরায় অনুষ্ঠিত জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৫তম সভায় সড়ক ও মহাসড়কে ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, ভটভটিসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচলের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের পর সারাদেশেই তিন চাকার থ্রি-হুইলার গাড়িগুলো জেলা শহরে চলাচল করলেও শুধুমাত্র শিবগঞ্জ উপজেলার মাহিন্দ্রা গাড়িগুলোকে জেলা শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। অথচ জেলা সদরের মাহিন্দ্রাগুলোকে যথাযথভাবে শহরে চলাচল করতে দেখা গেছে। গেল ২৯ নভেম্বর সেতুমন্ত্রী একদিনের সরকারি সফরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আসলে শিবগঞ্জ থ্রি-হুইলার মালিক সমিতির স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র সড়ক ও পরিবহন সেতুমন্ত্রী বরাবর প্রদান করেছেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একই ধরণের আবেদনপত্র প্রদান করেছেন। তাদের আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে- জেলা সদর সমিতির তিন চাকার গাড়ি সদরে অবাধে চলাচল করছে। শুধুমাত্র শিবগঞ্জ থ্রি-হুইলার মালিক সমিতির মাহিন্দ্রা গাড়িগুলোকে নবাবগঞ্জ সদরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। অবিলম্বের থ্রি-হুইলার মাহিন্দ্রা গাড়িগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে বৈষম্য দূরীকরণের অনুরোধ জানিয়েছেন। এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর খলিলুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত ১৩ নভেম্বর সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের তিন চাকার যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধের শিরোনামে জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল থেকে এখন পর্যন্ত কোন চিঠিপত্র আমাদের নিকট এসে পৌঁেছনি। তবে প্রতিদিন বিকেল পাঁচটার পর জেলা সদরে মাহিন্দ্রা প্রবেশ করে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন