অনলাইনে সারাদেশে ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর (ই-বিআইএন) নিবন্ধন ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর ই-বিআইএন রেজিস্ট্রেশনের শেষ সময়। আর ওই সময় ভ্যাট নিবন্ধিত ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে এনবিআর মনে করেছে।
এনবিআর জানায়, ৭০ হাজার ১৬০টি নিবন্ধিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যেমন পুরনো নম্বর ই-বিআইএনে রূপান্তর করা হয়েছে, তেমনি সম্পূর্ণ নতুন নম্বরও রয়েছে। প্রায় ১০ হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা দেয়নি। তবে শেষ সময়ে নিবন্ধন নেওয়ার চাপ বাড়ছে। অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধনের নির্ধারিত সময় শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর। ফলে আর সময় আছে ১৪ দিন। যদিও এনবিআর সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে।
বর্তমানে ১১ ডিজিটের নম্বর দিয়ে ভ্যাট নিবন্ধন করা হয়। তবে অনলাইনে নম্বর ৯ ডিজিটের। ২০১৮ সালের জানুয়ারির পর ১১ ডিজিটের নম্বরের কার্যকারিতা থাকবে না। এনবিআর বলেছে, পুরনো নম্বর দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কার্যক্রম চালানো যাবে। রিটার্নও জমা দেওয়া যাবে। এরপর ৯ ডিজিট বাধ্যতামূলক।
এ বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন) মো. রেজাউল হাসান বলেন, ডাটা ব্যাংক তৈরির কাজ দ্রæত সম্পন্ন করতে হলে সবাইকে অনলাইনে নিবন্ধন নিতে হবে। এজন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
নতুন মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় নেওয়া হয় অনলাইন প্রকল্পটি। আর এজন্য বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে ৫৫১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন দুই বছরের জন্য স্থগিত করায় অনলাইন প্রকল্প বাহাল রাখা হবে কি হবে না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। গত অক্টোবরে এনবিআর অনলাইন প্রকল্প অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বিদ্যমান ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে। এ লক্ষ্যে ১৯৯১-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অনলাইন ব্যবস্থাকে পুনঃসংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বর্তমানে সনাতনী সাড়ে ৮ লাখ বিআইএন নিবন্ধন আছে। এর মধ্যে মাত্র ৩২ হাজার বিআইএন নিবন্ধনধারী প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ভ্যাট রিটার্ন প্রদান করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন