কভারবিহীন বিদ্যুৎ লাইন কেন?
গত ২৭ নভেম্বর ২০১৭ বিকেল ৪টায় ধানমÐিস্থ ৪৪/কিউ/৫ ঝিকাতলা নতুন রাস্তায় তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটের বারান্দায় পাখির সঙ্গে খেলা করার সময় ১১০০০ কেভি খোলা তারে বিদ্যুৎস্পর্শে পড়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কেএম রেজাউল ফিরোজ রিন্টুর ৬ বছরের ছেলে রাফসান নূর। তার শরীরের প্রায় ২০ ভাগ পুড়ে গেছে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) নর্থ বিভাগ এই এলাকায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে আবাসিক ভবন ঘেঁষে একটি পুরাতন লাইন থাকা সত্তে¡ও বিশেষ কোনো প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে বিদ্যুতের পুরাতন খুঁটিতে কভারবিহীন লাইন স্থাপন করে। এ বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনকালে স্থানীয় লোকজন কভার লাইন দেওয়ার অনুরোধ করলেও কর্তৃপক্ষ ১১০০০ কেভি খোলা লাইন স্থাপন করে। নূরের বিদ্যুৎস্পর্শের ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ, শোকাহত।
উল্লেখ্য, এ বিদ্যুৎ লাইনটি যেখান থেকে শুরু হয়েছে সেখানে ভবন থেকে লাইনের দূরত্ব মাত্র দুই ফুট। পরবর্তী ভবন অর্থাৎ দুর্ঘটনাকবলিত ভবন থেকে দূরত্ব মাত্র চার ফুট, যে কোনো সময় এ বিদ্যুৎ লাইন থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রবিউল ইসলাম,
ঢাকা
দখল ও দূষণের কবলে করতোয়া
দখল ও দূষণের কবলে পড়ে বগুড়ার করতোয়া নদী এখন প্রাণহীন। এক সময় এই করতোয়া নদীর তীর ঘেঁষে প্রাচীন পুÐ্রনগরের গোড়াপত্তন হয়েছিল। স্বাধীনতার পর থেকেই করতোয়া নদীর দখল শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে করতোয়া নদী দখল হতে হতে প্রায় ২০০ কিলোমিটারের নদীটি এখন ছোট হয়ে ১০০ কিলোমিটারে রূপ নিয়েছে। পলি পড়ে ভরাট হলেও নদীটির নাব্যতা রক্ষায় কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। নদীর পাড় দখল করে বাঁধ দিয়ে অস্থায়ীভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে। দুই পাড় ঘেঁষে প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছে। শিল্প-কারখানার বর্জ্যে নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। নদীর পাড় দখল করে চাষাবাদ করা হচ্ছে। হরহামেশা নদীতে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। নদীর সঙ্গে সংযোগ থাকা ছোট ছোট নালা দিয়ে কল-কারখানা ও অন্যান্য বর্জ্য এসে জমা হচ্ছে নদীতে। বালু উত্তোলনসহ এর দুই পাড় দখল হওয়ায় নদীটি এখন খালে পরিণত হয়েছে। নামে-বেনামে নদীর তীর সময়-সুযোগমতো প্রভাবশালীরা দখল করে নিচ্ছে। কার্যকর উদ্যোগের অভাবে অচিরেই নদীটি দখল-দূষণের জাঁতাকলে পড়ে হারিয়ে যাবে। তাই যত দ্রæত সম্ভব নদীর দুই পাশের সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, এতে যে কোনো ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধ এবং নদীর দু›পাশজুড়ে হাঁটাচলার রাস্তা নির্মাণ করে নদীকে বাঁচাতে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সাধন সরকার
শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের গ্রেড
সরকারি হাইস্কুলে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য বিদ্যমান। দীর্ঘদিন ধরে সহকারী শিক্ষক; সহকারী হিসেবেই অবসর। মেধাবীরা এখানে এসে হতাশায় ভোগেন। সুযোগ পেলেই অন্য চাকরিতে চলে যান। ফলে প্রচুর পদ শূন্য হয়ে যায় এবং স্কুলগুলোতে তীব্র শিক্ষক সংকট দেখা দেয়। যদিও আমরা হাইস্কুলের শিক্ষক, তবু কিছু জেলায় (বেশিরভাগ) সংযুক্ত প্রাইমারি প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি খুলে রাখা হয়েছে। বর্তমানে কিছু জেলায় কলেজ শাখা, একাদশ-দ্বাদশ খোলা হয়েছে এবং এই হাইস্কুলের শিক্ষক দ্বারা পরিচালনা করা হচ্ছে। কলুর বলদের মতো খাটনি আর মূল্যায়ন, দীর্ঘদিন ধরে প্রমোশন নেই। গেজেটেড করার পর প্রায় ছয় বছর হয়ে গেল; কিন্তু কর্তাব্যক্তিরা এখনও নিয়োগবিধি তৈরি করতে পারলেন না। সরকারের কাছে অনুরোধ, শুধু বিসিএস পাস শিক্ষক নিয়োগ দিলেই হবে না, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। চূড়ান্ত নিয়োগবিধি তৈরির মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক পদটিকে শুরুতেই নবম গ্রেডভুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
মো. আশরাফুল ইসলাম
চুয়াডাঙ্গা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন