স্টাফ রিপোর্টার : জিকা ভাইরাস নিয়ে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজে এক সিমেনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেডিকেলের মাল্টিপারপাস হলে গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং এ সেমিনারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুস সবুর।
সেমিনারে জিকা ভাইরাসের উপর আলোচনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ঘোষিত বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বিস্তার লাভকৃত মানুষের স্বাস্থের জন্য বিপদজনক ভাইরাস হচ্ছে জিকা ভাইরাস বলে জানানো হয়।
জিকা ভাইরাস ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় জিকা ফরেস্ট-এ বানরের দেহে প্রথম শনাক্ত হয়। ২০০৭ সালে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা এবং ২০১৩ সালে মাইক্রোনেশিয়া ও ফ্রান্স-এ আবির্ভাব হয়। ব্যাপকভাবে ২০১৪ সাল থেকে ব্রাজিল, কলম্বিয়া, হাইতি ও মেক্সিকোতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। ২০১৫ সাল থেকে এ ভাইরাস নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা শুরু হয়।
এই রোগ এডিস নামক মশা দ্বারা ছড়িয়ে থেকে, যা ডেঙ্গু ও চিগুনগুনিয়া নামক রোগও ছড়িয়ে থাকে। এছাড়া গর্ভবতী মা থেকে বাচ্চা, যৌন সংযোগ হলে রক্ত একজন থেকে অন্য জনকে দিলে এবং সন্তান প্রসবের সময়ও সংক্রামিত হয়।
ভারত ও পাকিস্তানে মশায় এ জীবানু ১৯৮৬ সালে পাওয়া যায়। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষের মাঝে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ রোগের উপসর্গগুলো হলো- জ্বর, শরীর ও গিরায় ব্যাথা, শরীরে লাল দাগ, চোখ লাল ও মাথা ব্যাথা। সেমিনারে বক্তারা বলেন, এই রোগে মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি নাই। উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয়। কিন্তু সারা বিশ্ব এখন সেটা নিয়ে ব্যস্ত সেটা হলো এই রোগ গর্ভবতী মায়ের হলে ছোট মাথা বিশিষ্ট বাচ্চা জন্ম দেয় এবং বাচ্চা কখনো স্বাভাবিক জন্ম নিলেও পরবর্তী সময়ে বাচ্চার অন্যান্য ¯œায়ু গঠিত সমস্যা হতে পারে। সে কারণে এ ভাইরাসটি ভয়ানক ও বিপদজনক।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আ.ন.ম জিয়াউর রহমান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহফুজুর রহমান খান চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মো. মহিবুর আজিজ, অধ্যাপক ডা. ফাতেমা বেগম, বিভাগীয় প্রধান, গাইনী এন্ড অবস, ডা. মো. খয়বর আলীসহ প্রায় ৩০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন