পাবনায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিশাল র্যালীতে বাঁধা দেওয়ায় পুলিশের সাথে বিএনপি-ছাত্রদলের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় । এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশ র্যালিতে লাঠি চার্জ , ৪১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ৭ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে র্যালিটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ২৬জন বিএনপি’র নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত নেতাকর্মীরা জানান, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দুপুর ১টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে একটি র্যালী বের করে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনেই পুলিশ তাদের র্যালী করতে বাঁধা প্রদান করে। পরে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে র্যালী করতে গেলে পুলিশ র্যালিটিকে ধাওয়া করে।
পুলিশের দাবী , র্যালি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও উস্কানীশূলক বক্তব্য দেওয়া হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ, ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ৪১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে র্যালিটি ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক দাবী করেছেন। তার দাবি পুলিশের গুলিতে কেউ আহত হয়নি। তবে ২৬ জনকে গ্রেফতারের এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে ইনকিলাবের এই প্রতিনিধিকে জানান, বিএনপি-ছাত্র দলের মিছিল থেকে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে লাঠি চার্জ ও পরে ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে মিছিল-র্যালিটি ছত্রভঙ্গ করে দিতে বাধ্য হয়। গুলিবিদ্ধ আহত পাবনা রাধানগর মহল্লার সাবেক মেম্বার বিএনপি নেতা আবুল কাশেমকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর একজন হলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান জাফির তুহিন অপর এক জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে নেতা কর্মীরা পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে যায়। পাবনা জেলা বিএনপি’র সেক্রেটারি ইঞ্জি: হাবিবুর রহমান দাবি করেছেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালিতে লাঠি চার্জ, গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে।
এই ঘটনার পর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সার্বিক পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন