ফেনী মাইজদী সড়কের দাগনভুঞা থানার বেকের বাজার এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে হয়েছে। রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর ফেনী নোয়াখালী যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৫ ঘন্টা পর যান চলাচল আবার শুরু হয়।
পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৭টার দিকে ল²ীপুর থেকে চট্টগ্রামগামী যাত্রীবাহী বাস একটি মোটর সাইকেল ও সিএনজি বেবী টেক্সির সাথে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় যাত্রীবাহী বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ও বাসটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। স্থানীয় উদ্ধার কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করে। দুর্ঘটনার পর পুলিশ ও স্থানীয় দমকল বিভাগ কর্মীরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। স্থানীয়রা প্রাথমিক অবস্থায় বাসের ভিতর থেকে ৫টি লাশ উদ্ধার করে। পরে আহতদের মধ্যে আরো ২ জন নিহত হয়। স্থানীয়রা এ সময় ২০ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে দাগনভূঞা হাসপাতাল ও বাকীদের ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ নিহতদের মধ্যে ২ জনের নাম নিশ্চিত করেছেন। তারা হচ্ছেন বাস চালক হানিফ (৩৫)। হানিফ স›দ্বীপ উপজেলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান। আহতদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ফেনী সদর হাসপাতালের আরএমও অসীম কুমার সাহা জানান। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে হাসপাতার সূত্রে জানা যায়।
দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, হতাহতদের প্রায় সবাই ল²ীপুর ও চট্টগ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক অবস্থায় অনেকের পরিচয় জানা সম্ভব হচ্ছে না। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঐক্য সিং ও দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ভূঞা দুর্ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করেন। দুর্ঘটনার পর ফেনী নোয়াপখালী সড়কের যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। রাত ৯টার মধ্যেই ফেনী ও নোয়াখালী অংশে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মারাত্মক যানজটের সৃষ্টি হয়। অবশেষে দীর্ঘ ৪ ঘন্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন