আরিচা সংবাদদাতা : ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৭ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৩টা থেকে সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত দীর্ঘ ৭ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৩ টা থেকে সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে এ রুটে ফেরি,লঞ্চসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে উভয় ঘাটে যাত্রীবাহী বাসসহ ছোট কার ও অন্যান্য যানবাহন আটকে পড়ায় কনকনে শীতের মধ্যে যাত্রী ও শ্রমিকরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহায়।
বিআইডবিøউটিসির ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ পদ্মা নদীর নৌপথ ঘন কুয়াশার চাদরে টেকে থাকছে। ফলে নৌপথ চিহ্নিতকারী বিকন বাতি (মার্কার) দৃষ্টিগোচর না হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এসময় ৪ টি ফেরি যাত্রীবাহী বাস বোঝাই অবস্থায় পদ্মার মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে থাকতে বাধ্য হয়। বাকী ফেরিগুলো উভয় ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়। বাসের যাত্রী ও শ্রমিকরা জানান,কনকনে শীতের মধ্যে ঘাটে এবং মাঝ নদীতে দীর্ঘ সময় আটকা অবস্থায় সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন। এদিকে, রোববার সন্ধ্যায় আরিচা থেকে পাবনার কাজিরহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এমভি বরকত নামের একটি লঞ্চ যমুনার মাঝ নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে নোঙ্গর করে থাকতে বাধ্য হয়। লঞ্চটিতে ঢাকা-পাবনা মধ্যে চলাচলকারী পাবনা এক্সপ্রেস নামের ডে-কোচের যাত্রীসহ ১৩০ জন যাত্রী ছিল বলে জানা যায়। লঞ্চটিতে যাত্রীরা আটকা পড়ে কনকনে শীতের রাতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ইন্ঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে গন্তব্যে পৌছানো হয়।
বিআইডবিøউটিএ’র আরিচা অফিস সূত্র জানায়,বিকেল ৪ টার পরে আরিচা-কাজিরহাট রুটে লঞ্চ চলাচলের কোন টাইম টেবল নেই। কিন্তু পাবনা এক্সপ্রেস নামের ওই বাস কম্পানি লঞ্চ মালিকদের সাথে চুক্তি ভিত্তিক যাত্রী পরিবহন করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন