স্টাফ রিপোর্টার : লাখো মানুষের অংশগ্রহণে ২৫ মার্চ কালো রাতে আলোর যাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সামনে এ উপলক্ষে লাখো প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে আলোকিত করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, তারকা ও একাত্মতা প্রকাশকারী লক্ষাধিক মানুষ। শোককে শক্তিতে পরিণত করতে বাঙালির স্বাধীনতা ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ২৫ মার্চের কালোরাতকে আলোকিত করার উদ্দেশ্যে গ্রামীণফোন এ অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা তৎকালীন পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর বর্বরতার সাক্ষী আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধারা ২৫ মার্চ কালো রাতে ঘুমন্ত বাঙালির ওপর পাকিস্তানীদের হামলার চাক্ষুস অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন। একইসাথে তারা বলেন বাঙালির জেগে ওঠার সেই গল্প যেভাবে বাঙালি সব ভয় ও হতাশা কাটিয়ে উঠে নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অর্জন করে নিয়েছিলো নিজেদের স্বাধীনতা। আলোর যাত্রায় এদিন উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, কবি আসাদ চৌধুরী, ফরিদুর রেজা সাগর, শাইখ সিরাজ, আলী যাকের এবং কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনসহ প্রমুখ ব্যক্তি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অভিনেত্রী শমী কায়সার।
‘আলোর যাত্রা’ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি বলেন, ‘আজকের দিনটি বাঙালির জীবনে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় একটি ঘটনা। আলোর যাত্রার মাধ্যমে আমরা পৃথিবীতে আবার নজির স্থাপন করেছি। এটা আমাদের জন্য গর্বের একইসাথে অত্যন্ত আনন্দের। সারাদেশ থেকে লক্ষাধিক মানুষ আলোর যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে। একাত্মতা প্রকাশকারী এই স্বতঃস্ফূর্ত জনস্রোত প্রমাণ করে দিয়েছে শোককে শক্তিতে পরিণত করে আমরা এগিয়ে যাবো সম্ভাবনার পথে। আমাদের বহুদূরের যাত্রায় সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে যাবো আমরা। এমন একটা উদ্যোগের আয়োজন করতে পেরে গ্রামীণফোন অত্যন্ত গর্বিত। আমরা বাঙালির জাতীয় উল্লেখযোগ্য সকল স্মরণীয় ঘটনার পাশে ছিলাম। ভবিষ্যতে সকল অর্জনের পাশে থাকতে নিরলস পরিশ্রম করে যাবো। এ ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। ভয়েস কমুনিকেশন সেবা থেকে ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের জীবনকে আরও সহজ ও সুবিধাজনক করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাবো।’ গত ৪৪ বছরে সব বাধার বিপরীতে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নিজেকে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে পরিণত করেছে। এ সম্ভাবনাকে সত্যিতে পরিণত করতে বাঙালিদের হৃদয়ে স্বাধীনতার আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হবে। আমাদের বহুদূরের যাত্রায় স্বাধীনতার এ প্রজ্জ্বলন অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এটাই এ উদ্যোগের মূলবার্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন