শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

জমিয়াতের মহাসম্মেলন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’

| প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রেজাউল করিম রাজু : ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগরদের সফেদ ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত। আলেম-ওলামাদের ‘ঐতিহাসিক মহামিলন’ টক অব দ্য কান্ট্রি। সারাদেশে শহরবন্দর, হাট বাজার, গ্রামগঞ্জের চায়ের টেবিলে আলোচনার ঝড় তুলেছে। তেমন প্রচার-প্রচারণা নেই। পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার দিয়ে মহাসম্মেলনে যোগ দেবার আহ্বানও ছিল না। দেশে মহাসম্মেলন মানে প্রকাশ্য কিংবা নীরব চাঁদাবাজির মহোৎসব। চলে বাদ্য বাজনা বাজিয়ে সমাবেশে যোগদান। এমন কিছুই ছিল না আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর মাদ্রাসা শিক্ষক পীর-মাশায়েখ মসজিদের ইমাম খতিবদের মহাসম্মেলন ঘিরে। তাছাড়া এমন কিছু ঘটার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ ওরা যে আদর্শ মানুষ গড়েন। নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করার ব্রত নিয়ে নীরবে জ্ঞানের আলো বিতরণে বিশাল ভূমিকা পালন করাই তাদের কাজ।
এরা সবাই সমাজের সবচেয়ে সম্মানীত মানুষ। সবশ্রেণীর মানুষ সম্মান করে শ্রদ্ধা করে। হুজুর বা ওস্তাদজ্জি, মাওলানা সাহেব বলে সম্বোধন করে। বিপদে পড়লে পরামর্শ নেয়। দোয়া কামনা করে। এসব মানুষদের শ্রোত চট্টগ্রামের বারো আউলিয়া, রাজশাহীর শাহমখদুম ও শাহনিয়ামত উল্লাহ, খুলনার খানজাহান আলী, দিনাজপুরের চেহেলগাজী, সিলেটের শাহ জালালসহ দেশের ওলি আউলিয়ার স্মৃতি বিজরিত পূণ্যভূমিসহ সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হয়েছিল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
ওরা এসেছিলেন নীরবে। আবার ফিরে গেছেন বুক ভরা প্রত্যাশা নিয়ে নিজ। অন্যদের মহাসমাবেশের মত চিৎকার শ্লোগানবাজী ছিল না। বেশীর ভাগই ফজরের নামাজ আদায় করে বাসে চেপে মনে মনে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর নাম জিকির করতে করতে সমাবেশ স্থলে পৌঁছান। তাদের পরনের সফেদ পাঞ্জাবী পাজামা আর মাথায় টুপি জানান দিচ্ছিল আমরা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কর্মী। যে সংগঠন ‘আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগরদের’ এক কাতারে এক আঙ্গিনার নিচে ঐক্যবদ্ধ করেছে। তাদের ছোট ছোট নায্য চাওয়া পাওয়া আর স্বপ্ন পূরণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কান্ডারী হলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম ইসলামী চিন্তাবিদ মরহুম মাওলানা আলহাজ্ব এমএ মান্নান (রহ:) এর সুযোগ্য পুত্র দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন। যার সাথে রয়েছেন সুযোগ্য মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজীসহ বেশকিছু পীর-মাশায়েখ। রয়েছেন বিভিন্ন বিভাগ ও জেলার জমিয়াত নেতৃবৃন্দ। মাদরাসা শিক্ষকদের স্মরণকালের বৃহত্তম মহাসম্মেলন প্রমাণ করে দিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মাদরাসা শিক্ষকদের একমাত্র সংগঠন। মহাসমাবেশের এমন সফলতা নিয়ে উজ্জীবিত সবাই। অনেকে তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন সমাবেশ যে মহাসমুদ্রে পরিণত হবে তা ছিল কল্পনার বাইরে। অবশ্য এমন সফল হবার পেছনে কাজ করেছে সংগঠনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনের পরিকল্পনা এবং নেতৃত্বের দৃঢ়তা। তিনি বিভিন্ন বিভাগ ও কয়েকটি জেলায় কয়েকটি সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা। তার পরিশ্রম বৃথা যায়নি। ঢাকার মহাসম্মেলনের অতিথিরা অভিভূত হয়েছেন এমন জনসমুদ্র আর শৃঙ্খলা দেখে। ছিল না সামনে বসার জন্য হুড়াহুড়ি তাড়াতাড়ি। ছিল না হাজারো চেয়ারের সারি। যে যেখানে পেরেছেন আল্লাহর জমিনে বসে পড়েছেন। মন্ত্রমুগ্ধের মতো বক্তাদের কথা শুনেছেন। নিজেদের মর্যাদা, রুটি রুজির বিষয়ে মন্ত্রীসহ সম্মেলনে অতিথিদের আশ্বাসে আশায় বুক বেঁধেছেন। মাঝেমধ্যে ধ্বনি ছিল ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’। মহাসমাবেশ শেষে ঘরে ফিরে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানান দিয়েছেন মহাসমাবেশের কথা। যদিও এর আগেই মিডিয়ার কল্যাণে সবাই জেনে যায়। যারা যোগ দিয়েছিলেন তাদের মুখে কথার খই ফুটছিল। বর্ণনা দিচ্ছিলেন সমাবেশে যাওয়া থেকে আসা পর্যন্ত খুঁটিনাটি বিষয়গুলো। তারা ঐতিহাসিক মহাসম্মেলনে যোগ দিতে পেরে যেমন আনন্দিত ছিলেন। তেমনি ইতিহাসের অংশীদারও হয়ে রইলেন। এমন প্রতিক্রিয়ার কথা জানান আমাদের সুযোগ্য ব্যুরো প্রধান এ প্রতিনিধিরা।
রাজশাহী অঞ্চলে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনকে যিনি অন্যদের সাথে নিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মওলানা অধ্যক্ষ মোকাদ্দাসুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কান্ডারী মরহুম মাওলানা এম এ মান্নানের সুযোগ্য পুত্র বর্তমান জমিয়তের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনের বলিষ্ঠ এবং সাহসী নেতৃত্বে, জমিয়তের সুযোগ্য মহাসচিব শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কৃপায় এ পর্যন্ত মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীগণের এবং মাদরাসার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এ শীতের মধ্যে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া লক্ষ জনতার ঢল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেন মানুষ আর মানুষ। এক মানুষের মহাসমুদ্রে পরিণত হয়। আশা করি মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের এ ন্যায্য দাবি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অতিসত্বর পূরণ করবেন। জমিয়াতুল মোদার্রেছীন পীর-মাশায়েখগণের আশীর্বাদপুষ্ট একটি সংগঠন। এর প্রতি ওলি-আওলিয়াদের দোয়া আছে। এ যেন ওলামা-মাশায়েখগণের মহাজাগরণী মিলন স্থল।
যশোর ব্যুরো থেকে মিজানুর রহমান তোতা জানান, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা-মাশায়েখের সফল ঐতিহাসিক মহাসম্মেলন যশোর ও খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছে। যশোরের জেলা সভাপতি যিনি এই অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করেন তিনি তার লম্বাবহর নিয়ে মহাসম্মেলনে যোগ দেন। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার জীবনে এতবড় সম্মেলন দেখিনি। সম্মেলনে যোগ দেয়া মাদরাসা শিক্ষক মো: মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সম্মেলনে এতো লোক হবে ভাবিনি। এটি জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের পতাকাতলে দেশের ওলামা-মাশায়েখদের মহামিলন। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী সূত্রে জানা গেছে, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা, নড়াইল, বাগেরহাট জেলা সদর ছাড়াও স্ব স্ব উপজেলার হাজার হাজার মাদরাসা শিক্ষক ও কর্মচারীরা ঢাকার মহাসম্মেলনে যোগ দেন। এলাকা থেকে বাস ভর্তি করে তারা ঢাকায় যান। সম্মেলন শেষে তারা এলাকায় ফিরে এসেছেন। মাদরাসা শিক্ষক ও কর্মচারী শুধু নয়, মহাসম্মেল ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
বরিশাল ব্যুরো থেকে নাছিম উল আলম জানান, ২৭ জানুয়ারির মহাসম্মেলনে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ছাড়াও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে যথেষ্ঠ বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। দেশের কোনো অরাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো বিশাল পরিসরে এতবড় সমাবেশ সকলকেই ‘তাক’ লাগিয়ে দিয়েছে। ক্ষমতাশীন দলের মতবিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের একাধিক নেতাকর্মী গতকাল মাদরাসা শিক্ষকদের এতবড় সমাবেশ ‘এযাবতকালের নজিরবিহীন’ বলেও মন্তব্য করেন। ‘মাদরাসা শিক্ষকগণ কোন রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি না করেই প্রকৃত মানুষ গড়ার কারিগরের ভূমিকা পালন করছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন একাধিক পেশার মানুষ। নোয়াখালী ব্যুরো থেকে আনোয়ারুল হক জানান, এদেশের মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের একক বৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের উদ্যোগে স্মরণকালের বৃহৎ ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন নোয়াখালীতে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। মহাসমাবেশ ঘুরে এসে রাজধানী ঢাকা থেকে ইনকিলাবের কয়েকজন শুভাকাক্সক্ষী এ প্রতিবেদককে জানায়, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো কোটি কোটি টাকা খরচ করে লোক সমাগমে অনেকটা ব্যর্থ- সেক্ষেত্রে নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে মহা সমাবেশ সক্রিয় অংশগ্রহণ এদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ নিয়ে নোয়াখালীতে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। এদেশের মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্মরণকালের বিশাল ওলামা-মাশায়েখ মহাসমাবেশ তারই প্রতিফলন।
বগুড়া ব্যুরো থেকে মহসিন রাজু জানান, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সমাবেশের পর বগুড়ার মাদরাসা অঙ্গনের শিক্ষক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, সবার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন বিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাবোধ। মহাসমাবেশ থেকে ফিরে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বগুড়া শাখার সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হাই বারী ইনকিলাবকে বলেন, একটি মহল এই সমাবেশ নিয়ে মাদরাসা শিক্ষকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ছড়াবার চেষ্টা করলেও সমাবেশের সার্বিক সফলতায় ওই মহলটির মুখে চুনকালি পড়েছে, আবারো নতুন করে সবার চোখে তাদের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। বগুড়ার জমিয়াত নেতা ছাড়াও অনেক সাধারণ শিক্ষক তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, রাজধানীর বুকে গত কয়েক দশকে এতবড় ও সু-শৃঙ্খল সমাবেশ তারা দেখেননি। এই বিশাল সমাবেশ প্রমাণ করে দিয়েছে যে, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন শুধু কাগজে কলমেই নয় বাস্তবেই বৃহত্তম অরাজনৈতিক সংগঠন। কক্সবাজার ব্যুরো থেকে শামসুল হক শারেক জানান, কারো মতে সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশ ঐতিহাসিক, কারো মতে এটি স্মরণকালের আলেম ওলামাদের ঐতিহাসিক বিশাল সমাবেশ। কারো মতে, দেশের আলেম-ওলামাদের এই সমাবেশে বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। কক্সবাজার তৈয়বিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শাহাদাত হোসাইন বলেন, এই সমাবেশ ঐতিহাসিক। এই সমাবেশে যোগ দিতে পেরে তিনি ধন্য। তিনি এজন্য জমিয়াত নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদরাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা সলিমুল্লাহ জানান, এই সমাবেশ দেখে তিনি অবিভূত। তিনি আশা করেন মাদরাসা শিক্ষকদের সব সমস্যা অচিরেই সরকার সমাধান করে দেবেন। টেকনাফের জমিরিয়া মাদরসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ফরিদুল আলম বলেন, টেকনাফ থেকে আমরা যেভাবে দলে দলে ঢাকার এই সমাবেশে যোগ দিয়েছি, একইভাবে তেঁতুলিয়ার শিক্ষকরাও যোগ দিয়েছেনে। বলতে পারি এই মহাসম্মেলনের ঢেউ লেগেছে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত। দিনাজপুর অফিস থেকে মাহফুজুল হক আনার জানান, ঐতিহাসিক একটি নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। মাদ্রাসা শিক্ষকদের একমাত্র ও অরাজনৈতিক সংগঠন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসম্মেলন ইতিহাসই রচনা করেছে। সম্মেলনের কথা ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে গ্রামে। গ্রামাঞ্চলের মুরুব্বী ঘর হিসাবে পরিচিত মাদরাসাগুলোতে এখন প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মহাসম্মেলনের কথা।
সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের গ্রহণযোগ্যতায় বিগত দিনে একটি পক্ষ মাদরাসা শিক্ষকদের বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু সংগঠনের বর্তমান সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের দৃঢ় নেতৃত্ব সংগঠনকে এগিয়ে নিয়েছে। সাহস যুগিয়ে শক্ত হাতে পরিচালনা করেছে জমিয়তের মহাসচিব শাব্বীর আহমদ মোমতাজী। হাজারো প্রতিকূলতাকে জয় করে মাদরাসা শিক্ষকদের কল্যাণে সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে এসেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসম্মেলনে স্মরণকালের জনসমাগমের মাধ্যমে সেই বিচলিত অবস্থার অবসান হয়েছে। দেশবরেণ্য ওলেমা-মাশায়েখদের উপস্থিতি আর দ্বীনি শিক্ষার হাজার হাজার মাদরাসা শিক্ষকের সাথে সাধারণ মানুষের ঢল দেখেছে সুদূর তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফের মানুষ। প্রয়োজনের কারণেই দাবি উঠে। আর দাবি আদায়ে রাজপথ নয়- নয় সহিংসতা প্রয়োজন ধৈর্য আর গ্রহণযোগ্যতা। সম্মেলনে উপস্থিত দাবি পূরণে সরকারের সহায়ক ভূমিকায় থাকা মন্ত্রী ও নীতি নির্ধারকদের বক্তব্যেই। এখন শুধু দরকার প্রধানমন্ত্রীর শুভদৃষ্টি। আর এটা বেশী দূরে নয়। কারণ ধর্মভীরু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীনি শিক্ষার মাধ্যমে সমাজকে জঙ্গি এবং দুর্র্নীতিমুক্ত করার লক্ষে ইতোমধ্যেই তার প্রমাণ রেখেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (15)
মাহফুজ ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ৩:০৭ এএম says : 1
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের বর্তমান সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন এবং মহাসচিব শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর দৃঢ় নেতৃত্ব সংগঠনকে এগিয়ে নিয়েছে।
Total Reply(0)
জালাল উদ্দিন ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ৩:২০ এএম says : 1
‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ তো হবেই, কারণ মানুষ এমনটা প্রত্যাশা করতে পারে নাই।
Total Reply(0)
শাফিউন ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ৩:২২ এএম says : 0
এটা দেখে বাতিলের বুক কেঁপে উঠেছে!
Total Reply(0)
পারভেজ ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ৩:২২ এএম says : 0
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম ইসলামী চিন্তাবিদ মরহুম মাওলানা আলহাজ্ব এমএ মান্নান (রহ:) সাহেবকে আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি
Total Reply(0)
কাসেম ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ৩:২৩ এএম says : 0
এত বড় সমাবেশ অতীতে মানুষ খুব কমই দেখেছে
Total Reply(0)
মো. মাহমুদুল আলম ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ৮:২৪ এএম says : 0
সরকারী হলেই সরকারের বেনিফিট। সবাই নৌকায় ভোট দেবে।
Total Reply(0)
মো. মহিউদ্দিন ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:৩০ পিএম says : 1
ইবতেদায়ী থেকে কামিল পর্যন্ত সব মাদরাসার শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে।
Total Reply(0)
মনিরুজ্জামান ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:০২ পিএম says : 0
জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এখনই সর্বস্তরের আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আসতে হবে অরাজনৈতিক সংগঠন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের পতাকাতলে।
Total Reply(0)
রেজবুল হক ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:০৩ পিএম says : 0
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে মাদরাসা শিক্ষক ও কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ অত্যন্ত জরুরি। এটা সময়ের দাবি।
Total Reply(0)
ফাতেমা ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:০৩ পিএম says : 0
অবহেলিত মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় জমিয়াতুল মোদার্রেছীন স্মরণীয় বরণীয় হয়ে থাকবে।
Total Reply(0)
সাজিদ ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:০৬ পিএম says : 0
জমিয়াতুল মোদার্রেছীন পীর-মাশায়েখগণের আশীর্বাদপুষ্ট একটি সংগঠন। এর প্রতি ওলি-আওলিয়াদের দোয়া আছে। এ যেন ওলামা-মাশায়েখগণের মহাজাগরণী মিলন স্থল।
Total Reply(0)
তামিম ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ৪:০৮ পিএম says : 0
দেশের মাদ্রাসাগুলোই আলোকিত মানুষ সৃষ্টি করে।
Total Reply(0)
মোঃশফিকুল ইসলাম ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ৪:৩৯ পিএম says : 0
আশা করি দেশনেত্রী বঙ্গবন্দু কন্যা বেসরকারী এম.পি.ও.শিক্ষকদের মনের আশা তাড়াতাড়ি পূরণ করবেন ।এছাড়া এই হতোভাগাদের আর কোন আশার স্হান নাই
Total Reply(0)
|মোঃ মজিবর রহমান 1মরাটারি মাদ্রাসা কুড়িগ্রাম ৩০ জানুয়ারি, ২০১৮, ১০:৫৮ পিএম says : 0
জমিয়তুল মোদাররেছিনের মাননিয় সভাপতি আপনি দয়াকরে 27শে জানুঃ 2018মহাসমমেলন এর ফলাফল জানিয়ে দেওয়ার জন্য আর একবার সমমেলনের ডাকদেন 1 আমরা দেখিয়ে দিতে চাই আমাদের সংগঠন কত শকতিশালী ও কত আনুগত 1
Total Reply(0)
Kawsar ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮, ৮:৫৮ পিএম says : 0
Good
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন