মেয়র আনিসুল হকের অকাল প্রয়াণে শূন্য হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। যদিও মেয়র আনিসুলের এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। তবু নগরের উন্নয়নের স্বার্থে নতুন নগরপিতাকে বেছে নিতেই হবে ঢাকাবাসীর। মেয়র আনিসুল হক কতটুকু উন্নয়ন করেছেন বা করেননি সেই বিতর্কে না গিয়ে বরং বলতে হয়, রাজনীতির প্রভাব বলয়ের বাইরে গিয়ে জনগণের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে তিনি কিছু দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। কম সময় পেলেও পথ দেখিয়ে গেছেন ভবিষ্যতের মেয়রদের জন্য। রাজধানীতে বইতে শুরু করেছে উপনির্বাচনের হাওয়া। সবখানেই চলছে আলোচনা। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরাও আটঘাট বেঁধে নির্বাচনি প্রতিযোগিতায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকা হারিয়েছে তার বাসযোগ্যতা। যানজট-অপরিকল্পিত নগরায়ন-দূষণ ও অধিক জনসংখ্যার চাপে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ শহরের খেতাব পেয়েছে ঢাকা। কিন্তু আমাদের তরুণ গবেষক ও বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন উদ্ভাবন এবং মেয়র আনিসুল হকের কিছু সাহসী পদক্ষেপ আমাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখিয়েছে। আমাদের মনে আবারও আশার সঞ্চার হয়েছে যে, আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা থাকলে এখনো আমাদের নগরীকে তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করা সম্ভব।
তাই যিনি ভবিষ্যত্ নগরপিতা হবেন তার প্রতি আমাদের আশা থাকবে, তিনি যেই দলেরই হোন না কেন, তিনি দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সবুজ নগরী গড়ার ব্যাপারে জোর দেবেন, পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলবেন। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন। সর্বোপরি ঢাকাকে বসবাসের উপযোগী করে তুলবেন।
আকতার হাবিব,
ঢাকা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন