বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ। অনেক সময় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার মেধা থাকা সত্তে¡ও অর্থের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে কিভাবে আয় করা যায় সেগুলো প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমানো সম্ভব। দেখা যাবে একজন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণের পর দক্ষ হয়ে উঠলে সে আয় করতে পারবে এবং শুধু যে পড়ালেখার খরচ চালাতে পারবে তা নয় পরিবারের ভরণপোষণও সম্ভব হবে তার পক্ষে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কম্পিউটার ল্যাবগুলোকে শিক্ষার্থীদের আউটসোর্সিং-এর কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এরকম উদ্যোগের ফলে অনেকাংশেই কমে যাবে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার।
বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১২৯টি। এর মধ্যে বেসরকারি ৯২টি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ধনীদের সন্তানরাই পড়ে না, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরাও পড়ে। পড়ালেখার খরচ বেশি হওয়ার কারণে অনেক সময় তারা পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে না। যদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সফটওয়্যার বিজনেসের জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু করে এবং সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে শিক্ষার্থী তার পড়ালেখার খরচ সেখান থেকেই চালাতে পারছে। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সফটওয়্যার বিজনেসে পাবে ৯২টি প্রতিষ্ঠান এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এই প্রতিষ্ঠানগুলো রাখবে বড় রকমের ভূমিকা।
এস এম হৃদয় রহমান
ঢাকা কলেজ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন