স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবারের স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে গিয়ে স্মৃতিসৌধকে অপবিত্র করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার উচিত ছিল শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া, কিন্তু তিনি তা করেননি। জাতির কাছে ক্ষমা না চেয়ে উল্টো স্মৃতিসৌধে গিয়ে তিনি স্মৃতিসৌধকে অপবিত্র করেছেন।
গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তৃণমূল ন্যাপের (ভাসানী) ছাত্র সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস পার্টি (এনএসপি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের দুজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের এ রায় প্রমাণ করেছে যে, দেশের আইন-আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছে। বিএনপি চেয়ারপারসনসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং যারা বলেন যে, দেশের আইন-আদালত সরকারের অধীন, তাদের উদ্দেশে বলছি, আপনারা দয়া করে স্বীকার করে নিন যে, শেখ হাসিনা সরকারের সময় আইন-আদালত অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
গত শনিবার বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলনে ‘আমাদের নেতাকে (তারেক রহমান) ইন্টারপোল খুঁজছে না’ এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের মানুষ জানে আলী বাবার চল্লিশ চোরের চেয়েও বড় চোর কে? তারেক রহমান দেশের পুলিশের কাছে ফেরারি আসামি। ইন্টারপোলের লিস্টে তারেক রহমানের নাম। তারেক রহমানকে শুধু যে ইন্টারপোল খুঁজছে তা না, দেশের মানুষও তাকে খুঁজছে।
আসলে বিএনপির সম্মেলন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মহাসচিবের পদটির মুলা পেন্ডুলামের মতো দুলছে। পেন্ডুলাম একবার মির্জা ফখরুলের দিকে দুলছে আবার পরেরবার অন্যজনের দিকে দুলছে। সে কারণেই ফখরুল সাহেব এমন মন্তব্য করছেন।
রায় প্রদানের পূর্বে আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে যারা হরতাল ডেকে দেশে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান সাবেক এ মন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা হরতাল ডেকেছে তাদের দূরবীন বা অণুবীক্ষণ কোনো যন্ত্র দিয়েই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চোরাপথে ডাকা এ হরতাল কে ডেকেছে? কেন ডেকেছে হরতাল, তা দেশের মানুষ জানে না।
ন্যাশনাল স্টুডেন্টস পার্টির আহŸায়ক রুবেল আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হামিদুর রেজা খান ভাসানী, এমএ করিম, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন