চট্টগ্রাম ব্যুরো :বৈশ্বিক ক্রমবর্ধমান গতিতে উষ্ণায়নের ধারায় বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের তাপমাত্রা গড়ে শূন্য দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকা ভেদে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সে. পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫০ বছর সময়কালে বৃষ্টিপাত বেড়েছে প্রায় গড়ে ২৫০ মিলিমিটার। বিগত ৫০ বছরের গড় বৃষ্টিপাত এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির যে প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে গরম ও শীত আরো তীব্র হয়ে ওঠার আশংকাকেই দিক-নির্দেশ করছে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্র আয়োজিত এক সেমিনারে পঠিত মূল প্রবন্ধে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ রিয়াজ আক্তার মল্লিক উপরোক্ত তথ্য প্রকাশ করেন। প্রবন্ধে বাংলাদেশ ও আশপাশ অঞ্চলে গত ৫০ বছর ধরে বৃষ্টিপাত এবং তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধির বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে খুবই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাতের আধিক্য, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, খরা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসছে। বাংলাদেশও এসব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
‘গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, জলবায়ুর এই পরিবর্তন বাংলাদেশের দেশের বিশেষ করে খাদ্য ও কৃষিখাতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এসব নেতিবাচক সংকট ও প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের সুনির্দিষ্ট ও যুগোপযোগী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।
আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেনের উপস্থাপনায় উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এম এ রশীদ, প্রকৌশলী উদয় শেখর দত্ত, সেমিনার কমিটির আহŸায়ক প্রকৌশলী রশীদ আহমেদ চৌধুরী, প্রকৌশলী শ্যামল আচার্য। প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন বলেন, কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রার বহুল বৃদ্ধি বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারণ। নিজেদেরকে বৈরি পরিবেশ সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার লক্ষ্যে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহŸান জানান। সেমিনারে প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচনায় অংশ নেন নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া, প্রকৌশলী ফারহানা আক্তার, প্রকৌশলী মোঃ শহীদুল্লাহ, প্রকৌশলী মোঃ আবু ইউসুফ, প্রকৌশলী কল্যাণ চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন