বেগম জিয়াকে সাজা দেওয়ার পরবর্তী ১১ দিনের ঘটনাবলী দেখে আওয়ামী লীগ ও সরকারী নেতাদের রীতিমত আক্কেল গুড়ুম। তারা ভাবলেন কি, আর হলো কি। খালেদা জিয়ার সাজাকে কেন্দ্র করে শেষ পর্যন্ত কোথাকার পানি কোথায় দিয়ে দাঁড়াবে সেটা এখনও সঠিক ভাবে বলতে পারা না গেলেও ঘটনা প্রবাহ যেভাবে গড়াচ্ছে তার ফলে আওয়ামী লীগের সব হিসেব লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ফলে তারাও এসব বিষয় নিয়ে নতুন করে হিসাব নিকাশ করতে বসেছে এবং দাবার ছক নতুন করে সাজাতে শুরু করেছে। একজন শিক্ষিত ভদ্রলোক আমাকে বললেন যে আওয়ামী লীগ এই খেলায় প্রথম রাউন্ডে প্রচন্ড হোঁচট খেয়েছে। গত ১৭ তারিখ বিকালে গুলশান যাচ্ছিলাম। কথা প্রসঙ্গে ড্রাইভার বললেন যে, আওয়ামী লীগ নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমি প্রশ্ন করলাম, কেন? তার উত্তর, আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের ছকটি সাজানো ছিল এভাবে: বেগম জিয়ার ৫ বছরের জেল হবে। জেল হওয়ার রায়টি শুনেই তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে শুরু হবে হুলুস্থুল কান্ড। বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল সহ বেগম জিয়ার নেতা কর্মী ও সমর্থকরা সাথে সাথেই আন্দোলনের নাম করে ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক তৎপরতায় মেতে উঠবে। তারা বেপরোয়াভাবে গাড়ি ভাংচুর করবে, গাড়ি ঘোড়ায় আগুন লাগিয়ে দেবে, পুলিশের প্রতি অবিরাম ইষ্টক বর্ষণ করবে এবং সারা শহরে বোমা বা ককটেল ফাটাবে। তাদের এসব কর্মযজ্ঞের ফাঁক দিয়ে এজেন্ট প্রোভোকেটিয়ারা মিছিল বা জনতার মাঝে অনুপ্রবেশ করবে এবং পেট্রোল বোমা বা গুলি করার মতো নাশকতা চালাবে। ফলে সহানুভ‚তির পরিবর্তে বেগম জিয়া তথা বিএনপির প্রতি জনগণের বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হবে। এই সুযোগে সরকার ঢাকা মহানগরী থেকে শুরু করে গ্রামে গঞ্জে পর্যন্ত সন্ত্রাস দমনের নামে বিএনপির বিরুদ্ধে চিরুনী অভিযান চালাবে এবং হাজার হাজার কর্মীকে গ্রেফতার করবে। ৮ ফেব্রুয়ারির আগেই কদম ফোয়ারার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২ শত নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের এখনও মুক্তি দেওয়া হয়নি। তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই নতুন করে নাশকতার বিভিন্ন মামলা দেওয়া হয়েছে। তাদের অনেককেই এর মধ্যেই রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের পর বিএনপি যদি হরতাল বা অবরোধের মতো কর্মসূচিতে যেতো তাহলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্তও জাল বিছিয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদেরকে ছেঁকে তোলা হতো। এদেরকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে জেলে রাখা হতো এবং ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য ইলেকশনের আগে মুক্তি দেওয়া হতো না। এভাবে আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে সমানে গোল দিতো।
কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার প্রাজ্ঞ ও দুরদর্শী নেতৃত্ব তাদেরকে সেই সুযোগ দেয়নি। গত ১১ দিন ধরে বেগম জিয়ার রায়ের পরে বিএনপি যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে সেটি এক কথায় কারান্তরীণ নেত্রীর অসাধারণ দুরদর্শিতার পরিচায়ক। নিয়মতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে বিএনপি রাজপথ থেকে পালিয়ে যায়নি। বরং অতীতের যেকোনো সময়য়ের চেয়ে আরো বেশি সংখ্যায় রাজপথ সরব রেখেছে। এবার শুধু জনগণ নয়, আওয়ামী লীগ এবং সরকারের কাছেও স্পষ্ট প্রতিভাত হলো যে, বিএনপির এই নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পেছনে রয়েছে জনগণের সর্বাত্মক সমর্থন। সেই সাথে একটি সাধারণ ধারণা সব শ্রেণীর জনগণের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে যে সরকার বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে একটি ভিত্তিহীন ও সাজানো মামলার মাধ্যমে দন্ড দিয়েছে যাতে করে বেগম জিয়া এবং তার দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখা যায়। এখন এটি ওপেন সিক্রেট যে বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় এবং জনগণ যদি ভোট কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে পারে তাহলে শাসকদল শুধু যে হারবে তাই নয়, তাদের হারাটা হবে একেবারে গো-হারা।
এখন বেগম জিয়ার কারাদন্ড আওয়ামী লীগ এবং সেই সুবাদে তাদের সরকারের জন্য হয়েছে শাঁখের করাত। এধারেও কাটে, ওধারেও কাটে। এখন তারা কি করবেন? বিভিন্ন ছলছুতা করে বেগম জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত করবেন? নাকি তার জামিনের পেছনে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না? এই দুইয়ের দোলাচলে এখন দুলছে আওয়ামী লীগ।
\দুই\
আওয়ামী লীগ ৬৫ বছরের একটি পুরাতন পার্টি। রাজনীতির বাতাস তারা মোটামুটি বুঝতে পারে। এই ১১ দিনেই তারা বুঝে গেছে যে কারাদন্ড দেওয়ার ফলে প্রতিটি দিন যাচ্ছে আর বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তা হুহু করে বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তা হবে হিমালয়ের মত উঁচু এবং তিনি হবেন মহা নেতা। ইতোমধ্যেই তিনি সম্মান, সহানুভ‚তি এবং জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে অনন্য উচ্চতায় উঠে গেছেন। এখন তার লাখ লাখ নেতা ও কর্মী তাকে আর ম্যাডাম ডাকে না। জেলে যাওয়ার পর থেকেই তিনি রূপান্তরিত হয়েছেন এক মমতাময়ী মাতৃ রূপে। অন্যের কথা বাদই দিন, এমনকি কিশোরগঞ্জের সাবেক এমপি মেজর আকতারুজ্জামান পর্যন্ত মিছিল করছেন এবং আওয়াজ তুলেছেন তিনি এবং তার সমর্থকরা তাদের মাকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনবেনই। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে মেজর আকতারুজ্জামান বিএনপির এমপি ছিলেন। কিন্তু তার কিছু কার্যকলাপ দলীয় স্বার্থের পরিপন্থী হওয়ায় তিনি দল থেকে বাদ পড়েন। এখন সেটি ভুলে যেয়ে তিনিও দেশনেত্রীকে মা হিসেবে মেনে নিয়েছেন এবং মায়ের মুক্তির জন্য রাস্তায় নেমেছেন। দেশনেত্রী বা ম্যাডাম থেকে মায়ের মর্যাদায় আসীন হওয়া বাংলাদেশের ৪৭ বছরের ইতিহাসে আমরা দেখিনি। তার প্রতি সমর্থন এবং দরদ যে কি পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেটা যে কতটা গভীর তার কিছু নজির দেওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে আমি অনেক কিছুই বলতে পারতাম। কিন্তু তাতে করে লেখাটি অনেক বড় হয়ে যাবে। তবুও দুয়েকটি ঘটনা না বললেই নয়।
ধানমন্ডি এলাকার একটি এ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাটে আমি থাকি। এখানকার অধিকাংশ ফ্ল্যাট মালিকদের স্ত্রীরা গৃহীনি। তারা উচ্চ শিক্ষিত। কিন্তু তারা পেশাজীবি বা চাকুরিজীবি নন। গত রবিবার ৪জন গৃহীনি এসে বললেন, আমরা তো বেগম জিয়ার জন্য কিছুই করতে পারছি না। বলুন তো ভাই আমরা যদি তার মুক্তির দাবিতে লিখিত গণস্বাক্ষরে সই দেই তাহলে কি তিনি মুক্ত হবেন? আমি বললাম, মুক্ত হবেন কিনা জানি না, তবে আপনাদের যতটুকু করার ততটুকু তো করলেন। ঐ মহিলারা অতঃপর ৪ জনে একটি গাড়িতে উঠে নয়াপল্টনে গিয়ে স্বাক্ষর দিয়ে এসেছেন। বনানীর একটি বহুতল বিশিষ্ট এ্যাপার্টমেন্টের কয়েকজন নিরাপত্তা প্রহরী এবং ফ্ল্যাট মালিকদের কয়েকজন ড্রাইভার নিজেরা কন্ট্রিবিউট করে জেল গেটে গিয়েছিলেন খাবার নিয়ে। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় তাদেরকে ফিরে আসতে হয়েছে।
এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে মনে হয় সেদিন আসছে, যেদিন এই ঢাকা মহানগরীতেই গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সময়ের কিছু ঐতিহাসিক ও বিপ্লবী ঘটনা গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ এবং নিয়মতান্ত্রিক পথে ফিরে আসতে পারে।
এসব দেখে শুনে শাসকদের চিত্ত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ১১ দিন ধরে মামলার সার্টিফায়েড কপি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। হয়তো এই লেখাটি যেদিন প্রকাশিত হলো তার আগের দিন অর্থাৎ সোমবার তাদেরকে কপি দেওয়া হবে এবং আজ হয়তো তারা আপিল করবেন এবং জামিন চাইবেন। কেন রায়ের এই নকল নিয়ে এমন টালবাহানা করা হলো? এ ব্যাপারে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আইনজ্ঞ এবং আন্তার্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনবিদ ড. কামাল হোসেন বলেছেন যে নকল নিয়ে যা করা হলো সেটি ছিল একটি প্রহসন। এসব রায়ের কপি পেতে তিন দিনও লাগে না। আর এরা ১০ দিনেও সেটি দেয় না। উদ্দেশ্য পরিষ্কার। বেগম জিয়াকে হয়রানী করা।
\তিন\
প্রথম রাউন্ডে হেরে গিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে শাসক দল একটি নতুন খেলা শুরু করেছে। টেলিভিশন টকশোগুলোতে ৩ জন করে আলোচক আনা হচ্ছে। এরা হলেন একজন আওয়ামী লীগার, একজন জাতীয় পার্টির আরেকজন বিএনপির। আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি তো একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। সুতরাং তারা হয়ে যাচ্ছে দুই, আর বিএনপি হচ্চে এক। বিএনপির কোনো সিনিয়র নেতা বা অভিজ্ঞ আলোচক আসছেন না। বরং বলা যায় আসতে পারছেন না। এলে পরেই তো টক শো শেষে একেবারে লাল ঘরে। আসল কথা হলো, সরকারের পরিকল্পনা। দুষ্ট লোকে বলে যে আগামী নির্বাচনে সরকার জাতীয় পার্টিকে দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্টি এবং জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হিসেবে সাজাতে চায়। আর বিএনপিকে থার্ড পার্টি। তবে ইংরেজীতে একটি কথা আছে না Man proposes God disposes.
সেজন্য আওয়ামী লীগের সব ধরণের নেতা এবং টেলিভিশন টকশোর আওয়ামী এবং জাপা পন্থী আলোচকদের মুখে এখন শুধু বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার। একটি কথা টকশোতে প্রায়ই বলা হচ্ছে যে বেগম জিয়া যেমন কাজ করেছিলেন তেমন ফল পাচ্ছেন। বেগম জিয়া নাকি এরশাদকে গ্রেফতার করেছিলেন। এখন তিনিও গ্রেফতার হয়েছেন। এদের অজ্ঞতা দেখে করুনা হয়। এরা জ্ঞান পাপী। তাদের জানা উচিৎ যে এরশাদকে বেগম জিয়া গ্রেফতার করেননি। তাকে গ্রেফতার করেছিলেন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট বিচারপিত সাহাবুদ্দিন আহমেদ। এরশাদ পদত্যাগ করেন ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর। সেই দিনই প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দন আহমেদ অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালের ১২ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট এরশাদ অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হন। আর খালেদা জিয়া প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ১৯৯১ সালের ১৯ মার্চ। অর্থাৎ এরশাদ গ্রেফতার হওয়ার ২ মাস ৭ দিন পর খালেদা জিয়া প্রধান মন্ত্রী হন। তবে দুঃখের বিষয়, এসব তথ্য জনগণের কাছে পরিস্কারভাবে বলতে পারে না বিএনপি। মনে হয় না তাদের কোনো থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আছে। অতীতেও ছিল না। এখনও নাই।
আরেকটি তথ্য আমার জানা ছিল না। তথ্যটি পরিবেশিত হয়েছে শনিবার ১৭ ফেব্রæয়ারি দৈনিক প্রথম আলোর ১১ পৃষ্ঠায়। প্রকাশিত নিবন্ধের এক স্থানে বলা হয়েছে, জনতা টাওয়ার মামলায় আপিল বিভাগ এরশাদের সাজা বহাল রাখলে তিনি ২০০০ সালের ২১ ডিসেম্বরে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং মাননীয় বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। তাঁকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ জানিয়ে চার দলের শীর্ষ নেতারা যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে খালেদা জিয়ারও সই ছিল। আজ বিএনপি নেতারা যেমন বলছেন, সাজানো মামলায় খালেদাকে ফাঁসানো হয়েছে, সেদিন জাতীয় পার্টির নেতারাও দাবি করেছিলেন, চারদলীয় জোটে যাওয়ার কারণেই সরকারের রোষের শিকার হয়েছেন এরশাদ। এই ঘটনা থেকে এটি পরিস্কার হয়ে যায় যে বেগম জিয়া কোনো সময় নিচু ও সংকীর্ণ মনের মানুষ ছিলেন না। তাই এরশাদের শাস্তির বিরুদ্ধেও তার মুক্তি চেয়ে প্রদত্ত বিবৃতিতে তিনি সই দিয়েছিলেন। অথচ সেই জাতীয় পার্টিই আজ সমস্বরে এই মর্মে মিথ্যাচার করছে যে বেগম জিয়াই নাকি তাকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। ওপরে যেসব ঘটনা বিবৃত করলাম সেসব ঘটনা থেকে একটি বিষয় পরিস্কার হয়ে যায় যে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির রাজনীতির প্রধান ভিত্তিই হলো মিথ্যাচার এবং মিথ্যা প্রোপাগান্ডা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিই আজ আলোচনা করা সম্ভব হলো না। সেটি হলো বেগম জিয়ার জামিন পেতে কত সময় লাগবে? এই সব মামলা মোকদ্দমা পেরিয়ে তিনি কি আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন? এ সম্পর্কে আমি লেখার ইচ্ছে রাখি আগামী মঙ্গলবার। অবশ্য এর মধ্যে যদি ভিন্ন ঘটনা ঘটে যায় তাহলে ভিন্ন কথা।
আজকে এটুকু বলছি যে বেগম জিয়ার ইলেকশন করা না করার ব্যাপারে আমি কয়েকটি উদাহরণ দেবো। এরমধ্যে থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জেনারেল এরশাদ, ভারতের পরলোকগত জয় ললিতা জয়ারাম, ম খা আলমগীর, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এমপি বদি প্রমূখ।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন