চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগের এক গ্রুপের নেতাকর্মীরা। তাদের হামলায় প্রক্টর অফিস, সাংবাদিকদের গাড়িসহ ১৬টি যানবাহন ভাঙচুর হয়েছে। তছনছ করা হয়েছে হলের ১২টি কক্ষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় এ তা-বে অচল হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সকালে শাটল ট্রেনের হোস পাইপ কেটে, শিক্ষক বাসের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বেলা ১১টায় প্রধান ফটকের সামনে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এর প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে গিয়ে দুপুরের পর প্রক্টর অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় বিপুল ভাঙচুর চালায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। তাদের বেপরোয়া ও চোরাগোপ্তা হামলায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের দুই সাংবাদিকসহ আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। ছাত্রলীগের এ গ্রুপটি চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সোমবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে এ গ্রুপের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে সোমবার রাত বারটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হল ও শাহ আমানত হলে প্রক্টরের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এসময় দুইটি এলজিসহ বিপুল সংখ্যক রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর প্রতিবাদে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে সকাল থেকে ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাঙচুর তাণ্ডব চালায় তারা। ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলোতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো সময় দুই গ্রুপের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন