শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শেষবেলায় কেনাকাটার ধুম

প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:০৮ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

এহসান আব্দুল্লাহ : হাটি হাটি পা পা করে শেষ হয়ে গেল সময়। সূর্যের উদয় অস্তের তালে তাল মিলিয়ে ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ ফেব্রæয়ারীর শেষ দিন। সেই সাথে বিদায় ঘন্টা বাজলো বাঙ্গালীর প্রাণের সমাবেশ অমর একুশে গ্রন্থমেলার। এ যেন প্রাণের সুর ভাঙ্গনের মতোই বেদনাসিক্ত। আবার একটি বছর অপেক্ষা তার পথ চেয়ে। কাল থেকে আর ভীড় জমবেনা বাংলা একাডেমি ও সোহরওয়ার্দী উদ্যানে। যে যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে থাকবে আগের মতোই। বিকেল বেলাটা আর তোলা থাকবেনা শুধুই বইয়ের জন্য। এবার হয়তোবা মেলার বিকেলগুলোর কথা স্মরণ করেই স্মৃতির জাবর কেটে চলবে গ্রন্থপ্রেমীরা; আর চলবে সারা মাস ধরে সংগ্রহ করা বইয়ের পাঠ ও আলোচনা সমালোচনা। লেখকরা আগামী বইমেলার জন্য নতুন করে সাজাতে থাকবেন নতুন কোন বই।
টিএসসি হয়ে দোয়েল চত্বর যাওয়ার পথে রাস্তার দু পাশে মেলার উৎসব আর চোখে ধরা দেবেনা। তবে দু-ধারে সাজানো স্টল গুলো সড়াতে সড়াতে কিছুদিন পাঠকদের মনে করিয়ে দেবে কদিন আগেই এখানে সবাই মজতো প্রাণের আমেজে।
গতকালের বইমেলায় ছিল পাঠকদের উপচে পড়া ভীড়। বই হাতে নিয়ে এক স্টল থেকে আরেক স্টলে ঘোড়াঘুড়িতেই ব্যস্ত সময় পার করছিলেন তারা। দেখে মনে হচ্ছিল বইয়ের বাহিরে পৃথিবীতে আর কিছুই এই মুহুর্তে কল্পনা করতে পারছিলেননা তারা।
এতদিনের খরা কাটিয়ে গতকাল উল্লেখযোগ্য ভীড় দেখা যায় মেলার লিটল ম্যাগ চত্বরেও। নানা বয়সী পাঠকেদর আনাগোনায় পূর্ণ হয়ে উঠেছিল লিটল ম্যাগ চত্বর। সেই সাথে বেচাকেনাও ছিল সন্তোষজনক।
কথা হচ্ছিল তরুণ লেখক আহমেদ সাদাত তানভীরের সাথে। তিনি বলেন, শেষমুহূতের্র মেলা জমে উঠেছে লিটলম্যাগের স্টলগুলোতে। তবে মেলার মূল আয়োজন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলে যাওয়াতে ছোট পত্রিকাগুলোর অবস্থানগত ভারসাম্যহীনতা আমার কাছে ভাল লাগেনি।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নোমান আব্দুল্লাহ বলেন, বইমেলা আসলে আমাদের প্রাণের স্পন্দন, এখানে এলে দেখা মেলে আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত প্রজন্মের; তরুণদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ আমাদের স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করে। বইমেলায় নিত্য নতুন বইয়ের আগমন আমাদের জ্ঞানগত সমৃদ্ধির দিকেই ইঙ্গিত করে। মেলার শেষ দিনে এসে একজন পাঠক হিসেবে আমার চাওয়া আগামীতে যাতে আরো নতুন নতুন সৃজনশীল ও শিক্ষামূলক বই আসে তাতে আমাদের মতো তরুণরা মেলার প্রতি আরো আগ্রহী হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন