মোঃ আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) থেকে
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কেনাকাটার ধুম পড়েছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন বাজারে। বিশেষ করে উপজেলা সদর চৌদ্দগ্রামের ঈদের বাজার দিনরাত কেনাকাটায় সরগরম হয়ে উঠেছে। ঈদুল ফিতরের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে সাথে সাথে অভিজাত বিপণি কেন্দ্রগুলো ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দোকানপাটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় জমজমাট হয়েছে। জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম বাজারসহ উপজেলার মিয়াবাজার, কাশিনগর, মুন্সিরহাট, গুনবতী, ধোড়করা, চিওড়া, কনকাপৈতসহ অন্যান্য বাজারগুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার নারী-পুরুষ কেনাকাটার জন্য ছুটে আসছেন। অনেকেই সপরিবারে ঈদের পছন্দের কাপড়চোপড়, জুতো, গহনা, শিশু-কিশোরদের হাল ফ্যাশনের পোশাক কেনার জন্য ছুটছেন একেকটি মার্কেটে। এদের মধ্যে নারী ক্রেতার সংখ্যাই বেশি। প্রতিটি দোকানেই নারীদের ভিড়ের কারণে পুরুষদের কেনাকাটা করার সুযোগ থাকে কম। আর দোকানদাররাও নারী ক্রেতাদের নিকট বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হন। ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের প্রথমদিকে বিক্রি তেমন না হলেও ১৫ রমজানের পর থেকে বিক্রি ভালো হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সত্তরোর্ধ বৃদ্ধা পর্যন্ত সবাই পছন্দ মতো পোশাক কিনছেন যাচাই-বাছাই করে। তবে কিশোররা আধুনিক পোশাক কিনছে বেশি। এছাড়াও তরুণ-তরুণীদের পোশাকে চাহিদা বেশি বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। তরুণরা পায়জামা-পাঞ্জাবী, শাটর্, টি শার্ট, জিন্স প্যান্ট, ফতোয়া, ইত্যাদি বেশি কিনছেন এবং তরুণীরা থ্রিপিছ, সালোয়ারা কামিজ, ওড়না, কামিজ, শাড়ি, কসমেটিক্স জুতাসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীরা কাপড়চোপড় ও কসমেটিক্স সামগ্রীর পাশাপাশি মুদি মালের দোকানগুলোতে ও সেমাই, চিনি, কিসমিস, বাদাম, দুধ, পাউডার, ক্যাস্টার্ড পাউডার, নুডুলস্ আতপ চাল এবং মসল্লা সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। চৌদ্দগ্রাম বাজারের জমজম পাঞ্জাবি হাউজ এর মালিক আবদুল মোতালেব জানান, এই বার ঈদে তরুণদের চাহিদা অনুযায়ী বাজারে বিপুল পরিমাণ পাঞ্জাবি এসেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন