ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০১৮-১৯ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল প্রার্থী গোলাম মোস্তফা খান সভাপতি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল প্রার্থী মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। গতকাল রাত ১২টার দিকে ফল ঘোষণা করেন খোন্দকার আবদুল মান্নান।
এবারের কমিটির নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল। নির্বাচনে মোট ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্য সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি ও ট্রেজারারসহ ৮টি পদে জয়লাভ করেছে সাদা প্যানেল। অন্যদিকে, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল সভাপতিসহ মোট ৪টি সম্পাদকীয় পদে জয়লাভ করেছে। এছাড়া ১৫টি সদস্য পদের মধ্য সাদা প্যানেল ৮টি এবং নীল প্যানেল ৭ সদস্য পদে জয় পেয়েছে। মোট ২৭টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬টি ও বিএনপি ১১টিতে জয়লাভ করেছে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মিজানুর রহমান মামুন ছাড়া নির্বাচিত অন্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী শাহানারা ইয়াছমিন, সহ-সভাপতি পদে মো. রুহুল আমিন, ট্রেজারার পদে আরিফুর রহমান চৌধুরী সুমন, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার দিপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. কামাল হোসেন পাটোয়ারী, দফতর সম্পাদক পদে আব্দুর রশিদ, লাইব্রেরি পদে এম মনিরুজ্জামান মানির। বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান ছাড়া অন্য নির্বাচিতরা হলেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাহনাজ বেগম শিরীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম লিটন ও খেলাধুলা সম্পাদক পদে মোহাম্মাদ খলিলুর রহমান।
এর আগে ২০১৮-২০১৯ কার্যবর্ষের দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে গত ২৭ ও ২৮শে ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মোট ১৬ হাজার ১২৯ জন আইনজীবী ভোটারের মধ্যে ৯ হাজার ১১ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ভোট গণনা শুরু হলে বহিরাগত একজনের ভেতরে প্রবেশ করা নিয়ে আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় সমিতির নিচতলায় ৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। ঘটনার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার সমিতির সাবেক সভাপতি খোন্দকার আব্দুল মান্নান আহত হন। এরপরই ভোটগণনা স্থগিত করা হয়। ভোট গণনা পুনরায় শুরুর বিষয়ে শুক্রবার ১২টার দিকে নির্বাচনের প্রার্থী, সমিতির বর্তমান ও সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে কমিশন বৈঠকে মতামত দেন। পরে আলাদাভাবে কমিশনের সদস্যরা গতকাল সকাল ৮টায় আবারো ভোট গণনা শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। নির্বাচনে মোট ২৭টি পদের মধ্যে ৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের ২৭ জন এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের ২৭ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন একজন। নির্বাচনে নীল প্যানেলে সভাপতি পদে গোলাম মোস্তফা খান ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হোসেন আলী খান হাসান এবং সাদা প্যানেলে সভাপতি পদে আব্দুর রহমান হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মিজানুর রহমান মামুন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন