৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ।
আজ বুধবার দুপুর ২টায় এ জনসভা শুরু হবে। জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইতোমধ্যে উদ্যানে নৌকার আদলে সভা মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছে। উদ্যানের ভেতরে পূর্ব-উত্তর কোনে কাঠের নৌকার সাজে রয়েছে মঞ্চটি।
জনসভাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো উদ্যান। সমাবেশের আগের দিন ময়দানে মঞ্চ তৈরির কাজ শেষে বসানো হয় চেয়ার। সাজানো হয় প্যান্ডেল। পাশাপাশি নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে উদ্যানের চারপাশে।
একইসঙ্গে আছে র্যাব ও ডিএমপির কন্ট্রোল রুম। আর লেকের পাড় ঘেঁষে জনতার বসার জন্য বাঁশ দিয়ে স্তরে স্তরে জায়গা করা আছে।
এদিকে, এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে সভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের দেখা যায় সকাল থেকেই সভাস্থলে আসতে। তাদের হাতে শোভা পাচ্ছে নানা ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন। আর কণ্ঠে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান।
সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে, হাতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসছেন নেতা-কর্মীরা।
এছাড়াও বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল করে সমাবেশস্থলে আসছেন নেতা-কর্মীরা। পায়ে হেটেও জনসভায় যোগ দিচ্ছেন অনেকে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের বর্ষ পূর্তির দিনটিতে প্রতিবার নানা কর্মসূচি থাকে আওয়ামী লীগের।
তবে, এবারের আয়োজনটি একটু ভিন্ন। কেন না বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ মার্চের ভাষণ এখন অনন্য উচ্চতায়। এই ভাষণকে জাতিসংঘের ইউনেস্কো দিয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিলের স্বীকৃতি।
সে কারণে এবারের ৭ মার্চ পালিত হবে ভিন্ন আঙ্গিকে। এতে ভিন্নমাত্রা হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যা অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের শেষে।
তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটিয়ে বিশাল শোডাউনের মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করতে চায় বঙ্গবন্ধুর দলটি।
এ কারণেও তারা শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে। ৪৭ বছর পর এই ময়দানে আবারও সেদিনের মতো জনসমুদ্র তৈরির চেষ্টায় আছে ক্ষমতাসীন দল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ মার্চের নতুন তাৎপর্য নিয়ে ভাষণ দেবেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তৃণমূলে পৌঁছে দেয়ার জন্যও স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের প্রতি আহ্বান জানাবেন তিনি।
জনসভা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, এই জনসভার উপস্থিতি দিয়ে বিরোধীদের হ্রদকম্পন বাড়াতে চায় আওয়ামী লীগ।
আর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. দিপু মনি বলেন, আমরা (আ’লীগ) আশা করছি এই জনসভায় জনজোয়ার হবে। সভাটি রূপ নেবে জনসমুদ্রে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন