লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় হোটেলের কেরোসিন চালিত অগ্নিচুলা বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ১টি হোটেল, ৪টি মুদি দোকান, ১টি কম্পিউটার ও ফটোকপি ও ১টি কাপড়ের দোকান। এ দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০ লক্ষ্য টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার পারুলিয় বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, হোটেল মালিক হোসেন আলী, মুদি দোকান মালিক আবুল হোসেন, আব্দুল রহিম, আব্দুল গফুর, আনারুল ইসলাম, কাপড়ের দোকান মালিক ছামসুল মেম্বার, কম্পিউটার ও ফটোকপি দোকান মালিক কামরুজ্জামান।
এ বিষয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আলহাজ্ব আব্দুর রশীদ জানান, ‘আমি সকাল বেলা নাস্তা করার জন্য হোসেন আলীর চায়ের দোকানে যাই। এ সময় দেখতে পাই হোটেল মালিকের শালা হোটেলের সামনে রাখা অগ্নিচুলাটি হাওয়া (পাম্প) করতেছিলো। তখন হঠাতই অগ্নিচুলাটি বিস্ফোরণ হয়ে হোটেলের ভেতরে আগুন লেগে যায়। আমরা কয়েজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। তবে সেই আগুন দ্রুত পুরো হোটেলে লেগে যায়। তাই আমরা তাৎক্ষনিক হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। এরই মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পরে পাশের কাপড়, মুদি ও কম্পিউটারসহ আরো ৬টি দোকানে। ফায়ার সার্ভির এসে স্থানীয় সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ওই ৭টি দোকানের মালামাল টাকা পয়সা সব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাদের আর কোন কিছুই বাঁচাতে পারেনি।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা ফায়ার ষ্টেশনের দ্বায়িত্বরত লিডার খোরশেদ আলম প্রধান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা প্রাথমিক ভাবে জানতে পারি হোসেন আলীর চায়ের দোকানের কেরোসিন চালিত অগ্নিচুলা বিস্ফোরণে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ৭টি দোকান পুড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ্য টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন