তারা কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন বিয়ের সপ্তম বার্ষিকী উদযাপনে। পাশাপাশি সিটে বসে ছিলেন ডা. রেজওয়ানুল হক ও তার স্ত্রী তাহিরা তানভিন। নির্ঝঞ্ঝাট সুখী দম্পতি। ঘরোয়া নামেও বেশ মিল—শাওন আর শশী। উড়োজাহাজটি আকাশে ডানা মেলতেই শশী পোস্ট দিলেন—‘এবং যাত্রা হলো শুরু’। কিন্তু আনন্দময় এ যাত্রার শেষটা বড় বিষাদময়। যাত্রা শেষে উচ্ছল শশী আর নেই।
গতকাল সোমবার দুপুরে নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হয় ইউএস বাংলার বিএস-২১১ ফ্লাইটটি। ওই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন শশী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শাওন।
বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তাহিরা তানভিন শশী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডা. রেজওয়ানুল হক। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তাহিরা তানভিন শশী।
স্ত্রীর মৃত্যুর খবর এখনো জানেন না শাওন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শাওনের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত। কাঠমান্ডুর ওম হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। শশীর মরদেহ রয়েছে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ টিচিং হাসপাতালের মর্গে।
শাওনের চাচাতো ভাই মুসাব্বির বিন মাজহার প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে শশী ভাবি ও শাওন ভাইয়ের বাবা বিমানবন্দরে যান নেপালে যাওয়ার জন্য। তখন নেপালের বিমানবন্দরে বিমান চলাচলে ঝামেলা থাকায় তারা যেতে পারছিলেন না। একসময় ওখানেই খবর পান, শশী ভাবি মারা গেছেন। এরপর ওই কষ্টের কথা আর বলা সম্ভব নয়।
মুসাব্বির বিন মাজহার বলেন, ‘আজ ইউএস বাংলার বিশেষ ফ্লাইটে নেপাল গেছেন শাওন ভাইয়ের বাবা ও আমার আরেক চাচা। শাওন ভাইয়ের সঙ্গে কাল রাতে আমাদের কথা হয়। তিনি এখনো ঘোরের মধ্যে। বারবার শশী ভাবির কথা জানতে চাইছেন। আমরা তাকে কিছু জানাইনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন