সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

‘ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের শ্যেনদৃষ্টি এখন বাংলাদেশে’

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৮, ৫:৫৯ পিএম | আপডেট : ৬:০৪ পিএম, ২২ মার্চ, ২০১৮

বিশ্বব্যাপী ইসলাম এখন উদীয়মান শক্তি। অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সম্পদের কারণে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। এ কারণেই মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে ৯০ দশক থেকেই খ্রিষ্টান ও ইহুদি জায়নবাদী চক্র হানটিংটনের ‘সভ্যতার দ্বন্দ্ব’ থিসিসের আলোকে এসব চক্রান্ত হচ্ছে। ইরাক, আফগান, সিরিয়া, লিবিয়া, ফিলিস্তিনসহ যেখানেই মুসলমানের রক্ত ঝরছে প্রতিটি রক্তাক্ত ট্রাজেডির পেছনে রয়েছে সম্মিলিত ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের গড়ে তোলা রক্ষণশীল বিজাতীয় সংস্থার কালো হাত। বর্তমান বিশ্বের উদীয়মান ইসলামি শক্তিগুলোকে দমন করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও চরম স্যাকুলার রাষ্ট্র বানানো ও এ দেশের মাটির নিচে থাকা বিপুল পরিমাণ খনিজ সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার জন্যই মূলত: এদের কালো থাবা বাংলাদেশে বিস্তার করার চক্রান্ত এখন চুড়ান্ত পর্যায়ে। পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্ত শাসন দাবি ও ধর্মীয় বিভেদ তৈরি এ কালো হাতের থাবারই অংশ।

তাহরিকে খাতমে নবুওয়্যাত বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে গত মঙ্গলবার রাতে চাষারা চালুকলার মাঠে খাতমে নবুওয়্যাত সুন্নি মহাসম্মেলনে আমিরে তাহরিকে খাতমে নবুওয়্যাত আল্লামা ডা. মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন ইহুদি জায়নবাদী চক্র তাদের কার্য হাসিলের জন্যই মূলত এ দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টির করে রেখেছে। ব্যাপক সহিংসতা কিংবা গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে প্রয়োজনে বাংলাদেশকে একটি অচল রাষ্ট্রেও যদি পরিণত করতে হয় তাতেও তারা পিছপা হবে না।

ড. আব্বাসী আরো বলেন, এ দেশকে নিয়ে কাফের মুশরেকদের চক্রান্ত সুদূরপ্রসারী। ইহুদি জায়নবাদী চক্রের বাংলাদেশকে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো বাংলাদেশে রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করে দেশে একটি গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করা এবং পরবর্তীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে এদেশে সামরিক শক্তি নিয়ে ঢুকে এ দেশের মূল্যবান তেল, গ্যাস, কয়লা ও অন্যান্য খনিজ সম্পদগুলো হাতিয়ে নিয়ে মুসলিম গণহত্যার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে তারা ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া ও অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশ নিয়ে একটি স্বাধীন খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানানো। আর সেজন্যে ইতোমধ্যে তারা ঈসায়ী তরিকাভূক্ত একটি খ্রিষ্টান ধর্মীয় দলকে এবং কুখ্যাত কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে একাজে নামিয়েছে। বিভিন্ন এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা এদেরকে অর্থনৈতিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। তাই আলেম-ওলামা পীর মাশায়েক ও রাজনৈতিক দলের ইস্পাতকঠিন ঐক্যের মাধ্যমেই এ চক্রান্ত মোকাবেলা করা সম্ভব।

পীর সাহেব জৌনপুরী দাবি জানান, অনতিবিলম্বে স্বাধীন বাংলায় কুখ্যাত কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতেই হবে এবং কথিত ঈসায়ীভুক্ত মুসলমানদেরকে সকল ধরনের অপতৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে। খতমে নবুওয়্যাত ইসলামি মহা-সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন মাওলানা ক্বারি সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীরজাদা জৌনপুরী, মাওলানা এ কে এম এনায়েতুল্লাহ মাজহারী, মাওলানা গাজী তামিম বিল্লাহ আল কাদরী, মাওলানা জালাল বিন মাজহারী, মাওলানা আহমাদ হাসান গাজীপুরী, মাওলানা এনামুল হক আজাদী প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন