স্টাফ রিপোর্টার : গুণগত মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদন করে দেশের অনেক ওষুধ কোম্পানি আন্তর্জাতিক বাজারে সুনাম অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতা রক্ষায় ওষুধ শিল্প খাতে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে। একই সাথে সরকার নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে কোনো আপোষ করবে না।
গত বৃহস্পতিবার হোটেল সোনারগাঁও-এ বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম-এমপি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এখন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ তৈরি হচ্ছে, যা আগে সম্ভব ছিল না। কিন্তু এই অগ্রযাত্রা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির ৪৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ বিষয়ে কী-নোট উপস্থাপন করেন সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান-এমপি। যেখানে ২০৩৩ সালের মধ্যে ওষুধ শিল্প কতটা মর্যাদার জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটি তুলে ধরেন তিনি। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মুস্তাফিজুর রহমান, ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এসএম শফিউজ্জামান।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান-এমপি তার উপস্থাপনে বলেন, বাংলাদেশের সমগ্র ওষুধের বাজার দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের ওষুধ আমেরিকার বাজারে পৌঁছাবে যা একটি যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত হবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ওষুধের দাম এখনো সবচেয়ে কম। আগামীতেও ওষুধ শিল্প সমিতির কম মূল্যেই জনগণের হাতে ওষুধ তুলে দেওয়া অব্যাহত রাখবে। সবশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন