চট্টগ্রাম ব্যুরো : যুবলীগ কর্মী মোঃ মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইকবালকে প্রধান আসামী করে তার ভাই মুরাদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে নিহত মহিউদ্দিনের মা নুর নেছার বেগম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বন্দর থানা পুলিশ জানায়, মহিউদ্দিন খুনের ঘটনায় ইতোমধ্যে তানভীর ও মুছা নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারে জোর অভিযান চলছে। গত সোমবার বিকেলে নগরীর সল্টগোলা ক্রসিংয়ের মেহের আফজাল উচ্চ বিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি সভা চলাকালীন প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকে যুবলীগ কর্মী মোঃ মহিউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নগরীর দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসানের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন নিহত মহিউদ্দিন। যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও কোন পদে নেই। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভাসমাবেশে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন মহিউদ্দিন। একই এলাকায় তার বিরোধী গ্রæপে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল। যিনি ২০১৭ সালে জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে ‘হায় মুজিব, হায় মুজিব’ মাতমে নিজের শরীর থেকে কথিত রক্ত ঝরানোর চেষ্টায় জিঞ্জির চাকু দিয়ে আঘাত করে শিয়াদের মতো মাতম করে আলোচনায় আসেন। যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ইকবালের বিরুদ্ধে প্রায় সময় স্ট্যাটাস দিতেন। এর দ্ব›দ্ব থেকেই মহিউদ্দিনকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন