আমাদের বয়স চল্লিশের উপর হলে যেমন চুল পেকে যায় তেমনীভাবে আমাদের মাংসপেশী গুলির শক্তিও কমতে থাকে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশের মত হাঁটু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়েন্ট, হাটুকে বিশেষ করে শরীরের ওজন বহনকারী জয়েন্ট বলা হয়। যেমন হাঁটা চলার সময়, সিড়ি দিয়ে উঠানামা, নিচে বসা, নামাজের মত বসা, টয়লেটে বসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে হাঁটুর ভূমিকা খুবই বেশী। তাই হাঁটুর গঠন অনুযায়ী অস্থির পাশাপাশি কিছু রশির মত জিনিস থাকে যেগুলোকে মেডিকেল পরিভাষায় লিগামেন্ট বলা হয়, মূলত এই লিগামেন্ট গুলিই হাঁটুর জয়েন্টের স্ট্যাবিলিটি বা শক্ত অবস্থান ধরে রাখে। যখনই কোন কারনে এই লিগামেন্ট বা মাংসপেশী আঘাত প্রাপ্ত হয় কিংবা মাংসপেশীর শক্তি কমে যায় তখন আক্রান্ত ব্যাক্তির উপরোল্লিখিত কাজকর্মে অসুবিধা দেখা দেয় বিশেষ করে হাঁটু ভাজ করে নিচে বসা, কিংবা হাঁটু ভাজ হয় এমন কাজ করতে অসুবিধা হয়। ফলে রোগী হাটুতে ব্যাথা অনুভব করে। আবার এই প্রযুক্তির যুগে মানুষ এত অলস জীবন যাপন করে যে কোন ফিজিক্যাল একটিভিটি বা শারীরিক কার্যক্রম নেই বললেই চলে। যেমন বাসা থেকে বের হয়ে গাড়ীতে উঠল এবং অফিসে গিয়ে নামল তারপর ডেক্স এ বসে অফিস শেষ করে একই ভাবে বাসায় আসল। দেখা দেখা গেল ঐ ব্যাক্তির শারীরিক তেমন কোন পরিশ্রম নেই। যার ফলে তার শরীরের মাংসপেশীগুলো প্রয়োজনে তুলনায় শক্তি কমে যায় ফলে হাটুর শক্তি কমে যায়। তখন উপরোক্ত সমস্যাগুলি দেখা যায়।
করনীয়ঃ এই ধরনের সমস্যা প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম, তাই প্রতিরোধের জন্য প্রত্যেকেরই কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করা উচিত অন্তত সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট করে হাটা উচিত। আর যারা ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের জন্য কিছু সহজ ব্যায়াম করলেই আশা করি সুস্থ হয়ে যাবেন কিন্তু ব্যায়ামটি অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শে করতে হবে।
-ডা. এম ইয়াছিন আলী
বাত, ব্যাথা ও প্যারালাইসিস রোগে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ
চেয়ারম্যান ও চীফ কনসালট্যান্ট,
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি,ঢাকা।
মোবা: ০১৭৮৭ ১০৬৭০২
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন