শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শেষ হচ্ছে না শিশু সালমার জীবনযুদ্ধ

প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোরে নানির কাছে ঠাঁই পাওয়া শিশু সালমার জীবনযুদ্ধ শেষ হচ্ছে না। সালমার মা আল্পনা খাতুন গার্মেন্টস শ্রমিক ও বাবা বিপ্লব রহমান নির্মাণ শ্রমিক হওয়ায় কাজের জন্য তারা ঢাকায় থাকতেন। সন্তানসম্ভাবনা মা আল্পনা একটি বেসরকারী হাসপাতালে সিজার করে শিশু সালমাকে জন্ম দিতে গিয়ে একুশ বছর বয়সে মারা যান। মা-হারা সালমার লালনপালনের দায়িত্ব নেন তার নানী আলেকজান। বৃদ্ধ আলেকজান মেয়ের ছোট বাচ্চাকে দেখাশুনার জন্য আগে থেকেই মেয়ের ঢাকার বাসায় থাকতেন এবং সেখানে থেকে অন্যের বাসায় ঝি এর কাজ করতেন। মেয়ের অবর্তমানে নাতনী সালমাকে নিয়ে কোন রকমে দিন পার করছিলেন আলেকজান। সালমার বাবা নিমার্ণ শ্রমিক বিপ্লব তার সাধ্যমতো সহায়তা করতেন। মা হারানোর আট মাস পর লঞ্চডুবির ঘটনায় সালমার বাবা বিপ্লবও মারা যান। গার্মেন্ট শ্রমিক আল্পনা খাতুন সাভারে থাকার সুবাদে শুধু নির্মাণ শ্রমিক বিপ্লবের সাথে পরিচয়ের সুত্র ধরে তার সাথে বিয়ে হয়েছিল। বরিশালে বিপ্লবের বাড়িঘরের ঠিকানা বা তার পিতা-মাতার কোন কোন পরিচয় না থাকায় তার পরিবারের সাথে আর কোনভাবেই যোগাযোগ করতে পারেননি সালমার নানী আলেকজান। অবশেষে আলেকজান শিশু সালমাকে নিয়ে ফিরে আসেন তার গ্রামের বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের দেবত্তর গ্রামে। সেখানে নিজের বাড়িঘর না থাকায় তারা আশ্রয় নেন একই গ্রামে তার বড় মেয়ে শারমিন আক্তারের বাড়িতে। কিছু দিনের মধ্যে সালমা বেশ অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামের স্কুল শিক্ষক আব্দুর আব্দুর রাজ্জাকের পরামর্শে আলেকজান দু’বছর বয়সী নাতনী সালমাকে নিয়ে রওনা হন নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে। এবার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় ভেঙ্গে যায় শিশু সালমার বাম পা আর নানী আলেকজানের ডান হাত। ভাঙ্গা হাত-পা নিয়ে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসকরা জানান, সালমার বুকে একটি বড় টিউমার ছাড়াও তার রয়েছে হার্ট এর সমস্যা। তার দ্রæত অপারেশন করা প্রয়োজন। প্রায় ৪০ দিনের চিকিৎসা শেষে এক্সরে করে নানী আলেকজান জানতে পারেন সালমার ভাঙ্গা পা ঠিক ভাবে জোড়া লাগেনি। আজো সালমা তার ওই পা ফেলে হাঁটতে পারে না। চিকিৎসকরা বলছেন এখন তার পা ভাল করতে চাইলে তাকে অপারেশন করাতে হবে। টাকার অভাবে তিন বেলা যখন খাবার যোগার করাই তাদের সম্ভব হচ্ছে না, পা ভাঙ্গার পর সুচিকিৎসাও যখন সম্ভব হয়নি তখন আবার সালমার পায়ে অপারেশন সহ বুকের বড় একটি টিউমার ও তার হার্ট এর চিকিৎসা কিভাবে করাবেন সেটা ভেবেই দিশেহারা আলেকজান। সালমার পরিবারের সবারই একটা প্রশ্ন অভাগী সালমার বেঁচে থাকার জীবনযুদ্ধ কবে শেষ হবে? এ বিষয়ে কেউ আরো বিস্তারিত জানতে টাইলে সালমার নানী আলেকজানের সাথে ০১৭২৮-৮০৭১৭৪ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন