যে কোনো দেশের জন্য বিমানবন্দর খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেশ-বিদেশের মানুষ যাতায়াত করে। যে দেশ যত উন্নত,তাদের বিমানবন্দর ব্যবস্থা তত উন্নত। সেখানে মশা, মাছি, ইঁদুর, বিড়াল থাকার কথা ভাবাই যায় না। আমাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ, বোর্ডিং পাস কাউন্টার, ইমিগ্রেশন, বিশ্রামাগার, টয়লেটসহ প্রায় সর্বত্র মশার উৎপাত। যাত্রীরা অতিষ্ঠ। কোথাও একটু আরামে বসে থাকা যায় না। বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায় মাসের পর মাস মশার ওষুধ দেওয়া হয় না। নোংরা জলাশয়, ড্রেনে মশার জন্ম হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা-মাছি নিধনে আলাদা ইউনিট থাকে। শাহজালাল বিমানবন্দরে তাও নেই। বিমানবন্দরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই বিড়াল দেখা যায়। গত ২২ জানুয়ারি বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে এক যাত্রী ইঁদুরের কামড়ে আহত হন। পরে তাকে ভ্যাকসিন নিতে হয়। রীতিমতো অবিশ্বাস্য এসব ঘটনা, যা দেশের ইমেজের জন্য মোটেও ভালো নয়। দেশের অনেক অর্জন এসবের কাছে ¤øান হয়ে যায়। বিমানবন্দরে মশার কামড় খেয়ে খারাপ অনুভূতি নিয়ে বিদেশিরা দেশে আসেন। এ অবস্থা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কিছুদিন আগে মশার জন্য বিমান উড্ডয়ন ব্যাহত হয়েছে। মানুষের চেয়ে লাখো গুণ ছোট মশা। এটা নির্মূল করা যায়, যদি সদিচ্ছা এবং কার্যকর পরিকল্পনা থাকে। যে কোনো মূল্যে বিমানবন্দর এলাকা মশা, মাছি, ইঁদুর, বিড়ালমুক্ত করা হোক। এটাই সময়ের দাবি।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
মিরপুর-১২, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন