শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে কারাগারে বেগম খালেদা জিয়া

অসুস্থতার জন্য সরকার দায়ী -ব্যারিস্টার মওদুদ// আপাতদৃষ্টিতে খালেদা জিয়া ভালো আছেন -ব্রিগেডিয়ার হারুন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ফের নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে নেয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল (শনিবার) বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ ও র‌্যাবের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আনা হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। প্রায় দুই ঘণ্টা সেখানে তার রক্ত ও এক্স পরীক্ষা করানোর পর দুপুর পৌনে ২টায় তাকে বহনকারী গাড়ি কারাগারে পৌঁছায়। বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন। তিনি জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার একাধিক এক্সরে করা হয়েছে। এগুলো ফল আগামীকাল (আজ) দেয়া হবে। বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগ থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠেন। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে গাড়ি কারাগারের উদ্দেশে রওনা করে। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান গাড়ির কাছে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন ওই দুই নেতা জোর করে সামনে এগিয়ে গাড়ির কাঁচ ধরে খালেদা জিয়াকে হাত নেড়ে বিদায় জানান। খালেদা জিয়াও হাসিমুখে হাত নাড়েন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সরকার অবশেষে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ। তার এই অসুস্থতার জন্য সরকার দায়ী। কারণ তাকে নির্জন কারাগারে রেখেছে অবৈধ সরকার। তিনি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানোর দাবি জানান।
এর আগে সকাল সোয়া ১১টার দিকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পুরনো কারাগার থেকে বের করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। পুলিশের কালো রঙের একটি গাড়িতে করে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কারাগার থেকে বের করা হয় তাকে। বহরের সামনে-পেছনে ছিল র‌্যাবের পাহারা। সাড়ে ১১টার কিছু সময় পরই বিএসএমএমএইতে পৌঁছালে গাড়ি থেকে হোঁটেই নামেন সাদার উপর কালো প্রিন্টের জামদানী শাড়ি পরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিফটেও ওঠেন হেঁটে। হাসপাতালে পৌঁছালে ভিআইপি কেবিন বøকের ৫১২ নম্বর কেবিনে নেয়া হয় তাকে। খালেদা জিয়া কেবিনে যাওয়ার পর ডা. ওয়াহিদুর রহমান, এফ এম সিদ্দিকী ও মো. মামুনকে নিয়ে সেখানে যান বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, এরা সেই বোর্ডের সদস্য নন। ডা. মামুন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক। কেবিন বøকে প্যাথলজি বিভাগে পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়ার রক্ত সংগ্রহ করা হয়। পরে রেডিওলোজি ও ইমেজিং বিভাগে এক্সের জন্য নেয়া হয় তাকে। প্যাথলজি বিভাগ থেকেও হেঁটে হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে যান তিনি। দুই ঘণ্টা পর বেলা দেড়টার দিকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে কারাগারের পথে রওনা হয় একই গাড়ি; আগের মতোই পাহারা নিয়ে। পৌনে ২টার দিকে নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ঢোকে গাড়িটি।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাহারা দিয়ে বিএসএমএমইউতে আনার পর ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমাদের দায়িত্ব ছিল উনাকে নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া। তা আমরা করেছি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর উনাকে পুনরায় কারাগারে পৌঁছে দিতে হবে, আমার কাছে এটুকু তথ্য রয়েছে। বিএসএমএমইউর কোষাধ্যক্ষ আলী আসগর মোড়ল সকালে বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরবর্তী পদক্ষেপ মেডিকেল বোর্ডই ঠিক করবে।
খালেদা জিয়া বেরিয়ে যাওয়ার পর বিএসএমএমইউ’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হারুন সাংবাদিকদের বলেন, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের উপদেশে একাধিক অংশের এক্সরে হয়েছে। আগামীকাল (আজ) রিপোর্ট দেওয়া হবে। এর আগেও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, সেগুলো এবং আজকের পরীক্ষা মিলিয়ে চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। খালেদার জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান। বোর্ডে সদস্য রয়েছেন ডা. মনসুর হাবীব (নিউরোলজি), টিটু মিয়া (মেডিসিন) ও সোহেলী রহমান (ফিজিক্যাল মেডিসিন)।
৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে আপাতদৃষ্টিতে ভালো দেখেছেন বলে জানিয়ে ব্রি. হারুন বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) কেবিন থেকে হেঁটে রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে এসেছেন। আবার হেঁটে গাড়িতে উঠেছেন। আমরা আপাতদৃষ্টিতে দেখেছি, উনি ভালো আছেন। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো সম্পন্ন হয়ে গেলে তার শারীরিক কোনো অসুবিধা আছে কি না, তা মেডিকেল বোর্ড বলতে পারবে।
বিএসএমএমইউতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়ার পর খালেদা জিয়াকে তার পছন্দের চিকিৎসকরা দেখেছেন জানিয়ে আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) তার পছন্দ অনুযায়ী যেসব চিকিৎসকের উপস্থিতি চেয়েছিলেন, তারা ছিলেন। এই চিকিৎসকরা হলেন খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হদরোগ বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মামুন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এফ এম সিদ্দিকী ও নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াহিদুর রহমান। বিএসএমএমইউ পরিচালক বলেন, উনাকে এক্সরে বিভাগে নেওয়ার সময়ে ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তার সঙ্গে ছিলেন। কেবিনে তার চিকিৎসকদের সাথে উনি কথা বলেছেন। সেসময়ে আমিও ছিলাম। মোট চারজন চিকিৎসকের উপস্থিতি চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তাদের একজন অ্যাপোলো হাসপাতালের ডা. এম আলী হাসপাতাল ফটকে এলেও ঢুকতে পারেননি বলে জানা গেছে। যে চারজন চিকিৎসক বিএসএমএমইউতে খালেদাকে দেখেন, তাদের মধ্যে কারাগারের একজন চিকিৎসকও ছিলেন। খালেদা জিয়া কারাগারে ফেরত যাওয়ার পর বিএসএমএমইউর শহীদ মিলন মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসা ব্রিগেডিয়ার হারুনের সঙ্গে হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. নাজমুল করীম মানিকও উপস্থিত ছিলেন।
তবে সরকারি চিকিৎসায় অনাস্থা জানিয়ে সুচিকিৎসার জন্য দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালকালে সেখানে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, আমরা জানি না, কেন উনাকে এখানে আনা হয়েছে। আমাদের কিছু জানানো হয়নি। মওদুদ বলেন, আমরা এতদিন ধরে যা বলে আসছিলাম, এখন সরকারের মেডিকেল বোর্ড গঠন করার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে উনি অসুস্থ। তবে এই মেডিকেল বোর্ড গঠনকে লোক দেখানো আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, সরকারের চিকিৎসায় আমাদের একেবারেই বিশ্বাস নেই। তাকে একটি নির্জন, পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। সেখানে এমনিতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। আমরা চাই, তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। তাহলে তিনি নিজের চিকিৎসা নিজের ডাক্তারদের দিয়ে করিয়ে সুস্থ হবেন বলে আমরা মনে করি। খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়ার পেছনেও সরকারের ‘দুরভিসন্ধি’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক এই আইনমন্ত্রী।
দেখা করেছেন কোকোর স্ত্রী-মেয়ে: খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে দেখতে বিএসএমএমইউতে উপস্থিত হন তার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি এবং তার দুই মেয়ে। বেলা সাড়ে ১১টায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে এর আধা ঘণ্টা পর দুই মেয়েকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন শর্মিলা। তারা গাড়ি থেকে নেমে কেবিন ব্লকে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। এরপর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গাড়ির ভেতরেই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন তারা। তখন তাদের ঘিরে জটলা করে ছিল জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের একদল নেতা-কর্মী। সেখানে স্লোগান দেওয়ার সময় চার-পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে ঢোকেন কোকোর স্ত্রী-সন্তানরা। দেড়টার দিকে খালেদা জিয়া বের হওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তারা। বিএনপির কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে এক্স রে রুমে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা হয়েছে শর্মিলা রহমান সিঁথি ও দুই মেয়ের।
নেতাকর্মীদের ভীড়: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হবে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শাহবাগ ও বিএসএমএমইউ এলাকায় ভীড় করতে থাকেন দলের নেতাকর্মীরা। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ ছাড়াও আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। দুই মেয়েকে নিয়ে উপস্থিত হন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথিও। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসকেও পুলিশ ফটকে আটকে দেয়। তবে বিএনপি নেতা ও খালেদার তিন আইনজীবী মওদুদ আহমদ, মাহবুবউদ্দিন খোকন ও সানাউল্লাহ মিয়া বিএসএমএমইউতে ঢুকতে পেরেছিলেন। বিএনপির আরও অনেক নেতা-কর্মী হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছিলেন, কিন্তু তাদের ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। হাসপাতালের ফটকে সেলাগান দেওয়ার সময় কয়েকজনকে আটকও করা হয়। শাহবাগ ও বিএসএমএসইউ এর আশপাশে বিএনপির সমর্থকরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
আজিজুর রহমান ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৩০ এএম says : 0
বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসায় যেন কোন ঘাটতি না থাকে।
Total Reply(0)
Royal Haque ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:২৬ পিএম says : 0
আল্লাহর কসম, সবকিছুর শতভাগ হিশাব নেওয়া হবে !
Total Reply(0)
Obaydur Rahman ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:২৬ পিএম says : 0
তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। তিনি আপোষহীন। তিনি বাংলাদেশের গনতন্ত্রের দিশারী
Total Reply(0)
Md Hasan ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:০৯ পিএম says : 0
হে আল্লাহ তুমি দ্রুত তাকে শেফা দান করো। আমিন।
Total Reply(0)
MD Asadul Islam Asad ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:১৮ পিএম says : 0
খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই....
Total Reply(0)
Masud ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:২৫ পিএম says : 0
হে আল্লাহ প্রিয় দেশমাতাকে তুমি সুস্থ করে সকল প্রতিহিংসার কারাগার থেকে মুক্ত করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দাও। আমিন।
Total Reply(0)
Md Nizamul Hoque ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:২৫ পিএম says : 0
May Allah safe our mother.
Total Reply(0)
Md Kamrul Hassan Hridoy ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:২৬ পিএম says : 0
মহান রাব্বুল আলামীন দেশনেত্রীকে সুস্থতা দান করুন।(আমিন)
Total Reply(0)
Mahbub ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:২৭ পিএম says : 0
অনেক দিন পর দেখলাম, ধন্যবাদ। আল্লাহ সুস্থ করে দিন, আমিন
Total Reply(0)
Abu Supian ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:২৮ পিএম says : 0
খালেদা জিয়া কে আটক করে রাখতে পারবি। কুঠি জনতাকে কি ভাবে দমন করবি?
Total Reply(0)
nurul alam ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:২৯ পিএম says : 0
খালেদা জিয়াকে কারাগারে মেরে ফেলা হবে নাতো ? শুকুনের দল যেভাবে তাঁর বিরুদ্ধে লেগেছে তাতে ম্যাডামের এ বয়স ভার মানবেতো ? এরাইতো সত্তরের দশকে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল । চারটি পত্রিকা বাদে অন্যসব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল । বর্তমানেওতো এসব চলছে । কয়েকটি পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া বন্ধ করা হলো এবং অবশিষ্টদের গলা চেপে ধরার জন্য ৫৭ ধারা, ৩২ ধারা ইত্যাদি আরো কতকি প্রবর্তন করা হলো তার বর্ণনা অনেক বড় । এভাকে কী দেশ চলবে ? চলতে পারে ?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন