শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় সবার

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীক | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আমি ব্যক্তিগতভাবে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমান গাজীপুর জেলার সদর দফতর যেখানে অবস্থিত, সেই ভাওয়াল রাজাদের আবাস ভবনে স্থিত দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কনিষ্ঠতম অফিসার এবং কনিষ্ঠতম বাঙালি অফিসার ছিলাম। এখন ওই স্থানটি গাজীপুর জেলা সদর বলে পরিচিত। ১৯৭১ সালে এটা জয়দেবপুর থানা সদর বলে পরিচিত ছিল। আমাদের জন্য তথা দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জন্য, মুক্তিযুদ্ধ ১৯ মার্চ ১৯৭১ ধরা দেয়। ১৯ মার্চ ২০১৮ সেই গাজীপুর জেলা সদরে ১৯ মার্চ-এর ঘটনার স্মরণে, স্থানীয় স্টেডিয়ামে বিরাট জনসমাগম হয় এবং আলোচনা সভা হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগপন্থী সাবেক এমপি মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম ব্যতীত, ১৯ মার্চ ১৯৭১-এর সঙ্গে জড়িত অন্য কোনো সেনাবাহিনীর অফিসার বা সৈনিক এবং যেই সব জ্যেষ্ঠ জননেতা এখন আওয়ামী লীগ করেন না, তাদের কাউকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হলোÑ বঙ্গবন্ধু যেমন গুরুত্বপূর্ণ, বঙ্গবন্ধুর প্রেরণায় এবং নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধও গুরুত্বপূর্ণ; সেই মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের অংশগ্রহণকারীরাও গুরুত্বপূর্ণ। অতএব সব মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান জানানো এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির সাথে জড়িত রাখা, সরকারের দায়িত্ব। কথাগুলো বললাম এ জন্য যে, বাংলাদেশকে এখন এমন একটি অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখানে তৃতীয় পক্ষ থাকার জায়গা নেই, যেখানে কোনো মধ্যম পক্ষ থাকার জায়গা নেই। এই বিভাজনটি বর্তমান বাংলাদেশ শাসনকারী রাজনৈতিক দলটিই করেছে। আমরা এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে চাইলেও, পারিনি এবং পারার কোনো লক্ষণ এখনও দেখছি না। এরূপ পরিস্থিতির কাছে আমরা সবাই জিম্মি।
প্রসঙ্গটি উল্লেখ করলাম এ জন্য যে, সম্মানিত পাঠকের কাছে আমার মনের আকুতি যেন স্পষ্ট হয়। আকুতিটি হলো: মুক্তিযুদ্ধ ছিল সবার, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় হলো সবার, বিজয়ের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা হলো সবার এবং সেই স্বাধীনতার রক্ষার দায়িত্বও সবার। আমরা মনে করি, সবার শব্দটি বলতে সব রাজনৈতিক দলের সদস্যরা শামিল, রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরের কোটি কোটি জনতা শামিল, সব ধরনের ছাত্র, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, পেশাজীবী সবাই শামিল তথা এটা সবারই দায়িত্বের আওতায় পড়ে। অতএব যদি স্বাধীনতার ওপর হুমকি আসতে পারে এমন কিছু মনে হয়, অথবা অর্থবহ-স্বাধীনতার অর্থকে যদি কেউ ক্ষুণœ করার চেষ্টা করে, তাহলে অবশ্যই আমাদের সাবধান সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। সেই সাবধানতা, সেই সচেতনতা এবং সেই উচ্চারণ প্রকাশের কোনো অলঙ্ঘনীয় সময়সূচি নেই কিন্তু নির্বাচনের বছরে সময়টি যে তুলনামূলকভাবে উত্তম ও প্রয়োজনীয় এতেও কোনো সন্দেহ নেই।
আমার রাজনৈতিক দৃষ্টিতে ২০১৮ সালটি বাংলাদেশের জন্য একাধিক আঙ্গিকের দ্ব›েদ্বর বৈশিষ্ট্যে বিশেষায়িত। ওই দ্ব›দ্বগুলোর সাথে অবশ্যই আমাদের স্বাভাবিক দৃষ্টিতে পড়ে না এমন অনেক কিছুই জড়িত বা সংশ্লিষ্ট। উদাহরণস্বরূপ কয়েকটি মাত্র আঙ্গিক উল্লেখ করছি। এক. আন্তর্জাতিক রাজনীতি তথা পৃথিবীর পরাশক্তিগুলোর রাজনীতিতে ছোট দেশগুলোর ভূমিকা (ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স) জড়িত; দুই. আঞ্চলিক রাজনীতি তথা দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নামক ভূ-রাজনৈতিক অঞ্চলে আঞ্চলিক সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর (রিজিওনাল পলিটিক্স) জড়িত; তিন. আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির দ্ব›দ্ব (কালচারাল কনফ্লিক্ট) জড়িত। অতএব, বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে বা বাংলাদেশের কোন দিকে যাওয়া উচিত বা বাংলাদেশকে কোন দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সন্ধান করা সব সচেতন নাগরিকের জন্যই প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
আমরা বাংলাদেশ প্রতিদিন নামক দৈনিকের বৃহস্পতিবার ২২ মার্চ ২০১৮ প্রথম পৃষ্ঠার দিকে দৃষ্টিপাত করতে চাই। সেখানে বাংলাদেশে নবাগত চীনা রাষ্ট্রদূত তার আগের দিন অর্থাৎ ২১ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে যা যা বলেছিলেন, সেখান থেকে, রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটি আলাদাভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে। আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনের ওই খবরটি হুবহু উদ্ধৃত করছি। উদ্ধৃতি শুরু। ‘রোহিঙ্গা সমস্যার আশু সমাধান হবে না। ঢাকায় চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো বলেছেন, ঐতিহাসিক, জাতিগত ও ধর্মীয় সব বিষয় মিলিয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কটটি এতটাই জটিল যে, তার আশু কোনো সমাধান নেই। খবর বিডিনিউজের। গতকাল প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশের এই সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কট নিয়ে তিনি তার দেশের এ মনোভাবের কথা জানান। নির্বাচনের বছরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেইজিং গভীর মনোযোগের সঙ্গে দেখছে বলেও চীনের প্রতিনিধি জানান। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টিতে নজর রাখার কথা জানান চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের অবস্থান সম্পর্কে জানি, আপনাদের উদ্বেগও বুঝি। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে এর একটি সমাধান খুঁজে নেবে। রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটে চীনের কোনো স্বার্থ নেই। ঢাকায় চীনের দূতাবাসে দোভাষীর মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার যেন সমস্যার সমাধান করতে পারে, সে বিষয়ে সহযোগিতা করছে তার দেশ। এ প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, তবে আমরা দেখছি যে, রাখাইন রাজ্যের সমস্যা সমাধানের আশু কোনো উপায় নেই; কারণ এটি একটি জটিল সমস্যা; ঐতিহাসিক, জাতিগত এবং ধর্মীয় বিষয় এতে জড়িত। উদ্ধৃতি শেষ। এ পর্যায়ে আমার বক্তব্য: মাননীয় রাষ্ট্রদূত যেটা বলেননি, সম্ভবত কূটনৈতিক সৌজন্যের কারণেই, যে এতে এক দিকে ভারত ও বাংলাদেশ এবং অপর দিকে চীন ও বাংলাদেশ এই উভয়ের সম্পর্কের সমীকরণ প্রয়োজন। আমি এই অনুচ্ছেদের বক্তব্যের সঙ্গেই (তথা চীন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে) দু’টি পত্রিকার দু’টি ভিন্ন কিন্তু একই রকমের বা একই মর্মের শিরোনাম উদ্ধৃত করছি। শনিবার ১৭ মার্চ ২০১৮ ‘বণিকবার্তা’ নামক বাণিজ্য ও অর্থনীতিবিষয়ক পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার কালো হরফের বড় শিরোনাম ছিল এরূপ- ‘বাংলাদেশে চীনের কৌশলগত বিনিয়োগগুলো প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে’। বুধবার ২১ মার্চ ২০১৮ সালের নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় সবার উপরে বড় কালো রঙের শিরোনাটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি; শিরোনামটি ছিল- ‘আবারো আটকে গেল চীনা বিনিয়োগ প্রস্তাব’। আমি, বণিকবার্তার বা নয়া দিগন্তের পূর্ণ দীর্ঘ সংবাদগুলো এখানে উদ্ধৃত করছি না স্থান বাঁচানোর জন্য; পাঠক ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখে নিতে পারবেন।
শনিবার ২৪ মার্চ ২০১৮ বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর প্রথম পৃষ্ঠার সবার উপরে ডান দিকে প্রকাশিত একটি ছবিসহ সংবাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ওই সংবাদটির উৎস হচ্ছে (গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি) প্রখ্যাত চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। প্রকাশিত সংবাদ পুরোটা উদ্ধৃত করলাম না স্থান বাঁচানোর জন্য। চারটি বাক্য উদ্ধৃত করছি। উদ্ধৃতি শুরু। ‘বাংলাদেশের সব সমস্যার জন্য দায়ী হচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। এ সত্য উপলব্ধি করতে হবে। এটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে বিএনপিকে মাশুল দিতে হবে। ভারতকে চিনতে ব্যর্থ হলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’ উদ্ধৃতি শেষ। সংবাদের বাকি অংশ সম্মানিত পাঠক ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখে নিতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য: চীন এবং ভারত প্রসঙ্গে একাধিক সংবাদ উপরে উদ্ধৃত করলাম। কিছু দিন আগে ভারতীয় দূতাবাস একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল যেখানে বাংলাদেশের অনেক সম্মানিত সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সম্মানিত বাংলাদেশীগণকে বলা হয়, ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়, বন্ধুত্ব হবে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে। এরকম একটি ক্লারিফিকেশন বা ব্যাখ্যা দেয়ার পেছনে অন্তর্নিহিত কারণ হলো, বাংলাদেশের মানুষ, সব রাজনৈতিক দলের মানুষ বিশ্বাস করে যে, ভারতের কারণেই বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসতে পেরেছে এবং ভারতীয় বুদ্ধি পরামর্শেই সরকারের আইনশৃঙ্খলা ও গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীগুলো সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। অতএব আমি মনে করি, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মানুষকে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনগণকে সচেতন করার দায়িত্ব নেতাদের। জনগণের দায়িত্ব নেতা বেছে নেয়ার। এটা হচ্ছে পারস্পরিকভাবে অনুঘটকের ভূমিকা।
বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে বলা যায়, সেই মালিকানা শুধু পাঁচ বছরে একদিন। অর্থাৎ ভোটের দিন। এটা আমাদের সংবিধান ও রাজনৈতিক রেওয়াজের সীমাবদ্ধতা। যে নিয়মে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন করে, সেখানে শুধু একটিই চাওয়া : অর্থাৎ ভোট দিন। সত্যিকার অর্থে অঙ্গীকারের অভাব থাকে। সেই অঙ্গীকারের অভাব কিভাবে পূরণ করা যায় এটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ চিন্তার বিষয়।
আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। অতএব আমার দলের নামটি নিতেই পারি। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির জন্মলগ্ন থেকেই যেই নীতিবাক্য বা মটো প্রচারিত আছে সেটা হলো ‘পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি’। আমরা বিদ্যমান অবস্থা থেকে পরিবর্তন চাই। কিন্তু বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি বা কোনো একক ব্যক্তি বা অন্য কোনো ক্ষুদ্র দল, এরূপ দেশব্যাপী পরিবর্তন আনতে পারবে না যাদি না দেশের জনগণের পক্ষ থেকে সমর্থন আসে। সমর্থন প্রকাশের রূপ দু’টি। এক হলো দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনের সময় ভোট দেয়া। আরেকটি রূপ হলো নির্বাচন ব্যতিরেকেই পছন্দের রাজনৈতিক নেতা বা পছন্দের রাজনৈতিক দলের নীতির প্রতি সমর্থন দেয়া এবং সেই নীতিকে প্রকাশে ও প্রচারে সাহায্য সহযোগিতা করা। প্রচলিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতির অনেক সীমাবদ্ধতা আছে; কিন্তু সেগুলো নিয়ে আলোচনা বিপজ্জনক এবং স্পর্শকাতর। একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র উদাহরণ দিই। চট্টগ্রাম বা ঢাকা মহানগরের যেকোনো এলাকার বড় খাল বা বড় ড্রেন বা যেকোনো নালা যদি আমরা দেখি, তাহলে দেখব সেখানে পলিথিন জমে জমে পাহাড় হয়েছে। এই পলিথিন কোথা থেকে আসে? এগুলো আমরা তথা সমাজের মানুষ ব্যবহার করে ফেলে দিচ্ছি। ফেলছি নালার মধ্যে। একবারও চিন্তা করছি না যে, নালার মধ্য দিয়ে পানি যেতে পারবে না স্তূপ করা পলিথিনের কারণে। অথচ পানি যেতে না পারলে রাস্তায় পানি উঠবে। তখন আমরা সবাই মিলে অন্যকে দোষ দিতে থাকব। আমরা কেউই বলি না বা বলতে চাই না যে, পরিচ্ছন্নতা প্রসঙ্গে আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করা প্রয়োজন। অর্থাৎ পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি মানে চিন্তাচেতনায় এবং কর্মপন্থা বাস্তবায়নের পদ্ধতিগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন। এ বছর ২০১৮ সাল, যদি নির্বাচন হয় তাহলে আমাদের চেষ্টা করা উচিত, পরিবর্তনের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। যদি আমরা ইতিবাচক পরিবর্তন করতে পারি তাহলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। পরিবর্তন করার জন্য আমার পক্ষ থেকে যেসব চিন্তাভাবনা সেগুলো আমি মাঝেমধ্যেই পত্রিকার কলামে উপস্থাপন করি তথা লেখার মাধ্যমে প্রতিফলন করি। কিন্তু এর পরের ধাপের কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্য সমাজের সচেতন অংশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রয়োজন; আমি সেটা কামনা করি।
লেখক : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি
www.generalibrahim.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
গনতন্ত্র ৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:১৭ এএম says : 0
“ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি “, নিজেদের বাড়ীতে ফেরার পথে , বাবা ছিলেন আমার সাথে ; হঠাৎ পান্জাবীদের লন্চ পৌছে গেল , খেয়া নৌকা যখন দু’পাড়ের মাঝ পথে ৷ দু’পাড় থেকে দিচ্ছিল জয়ধ্বনি, ওদেরকে খুশি করার তরে ; মৃত্যু ভয়ে কাঁপছিলো বুক, কালেমা ঠোটে নড়ে ৷ সেই স্মৃতি আজও করছে তাড়া , ঘুম নিচ্ছে প্রায়ই কেড়ে ; রাজকারদের ভূয়া খবরে , নিশি কাটতো অন্যের রান্না ঘরে ৷ কত যে দৌড় দিতে হয়েছে , রাজাকার -পাক বাহিনীর ভয়ে ; পুলিশের চাকুরী ফেলে এসে , মুক্তিযুদ্ধের পরিবার হয়ে ৷ সন্ধারাতে যাইতেন পাহাড়ায় , ফিরতেন শেষ রাতে ; রেডিও , টর্চলাইট , জীবন সংগী , আমি থাকিতাম সদায় উনার সাথে ৷
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন