অ্যলার্জি শব্দটির সঙ্গে আমরা কম-বেশি সবাই পরিচিত। অ্যালার্জির কারণে অস্বস্তিতে ভোগেন অনেকেই। অ্যালার্জির সমস্যা যে যে কতটা ভয়ঙ্কর, তা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানেন। এ থেকে মুক্তি পেতে কত কিছুই না আমরা করে থাকি। এমনকি, খাদ্যতালিকা থেকে বাদ রাখতে হয় অনেক প্রিয় খাবার। চিকিৎসকদের মতে, কিছু কিছু খাদ্য গ্রহণের পর কারো কারো শরীরে অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যেমন-গরুর দুধ, ডিম, বাদাম, সয়াবিন, ইলিশ, চিংড়ি, পুঁটি, বোয়াল, শোল, বেগুন, কুমড়া, কচু থেকে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হতে পারে। এতে ত্বক চুলকাতে থাকে এবং সঙ্গে সঙ্গে লাল লাল চাকা হয়ে যায়। চোখেও চুলকানি, পানি পড়া, লাল হয়ে ফুলে ওঠে। রোগের লক্ষণ ও কতদিন থেকে হয়েছে এর সঙ্গে রোগীর জন্মগত ত্বকের রোগ, হাঁপানি ও নাক দিয়ে পানি পড়া বা হাঁচির সমস্যা রয়েছে কিনা তা জানা হয়।
ল্যাবরেটরি পরীক্ষা, যেমন-স্কিন প্রিক টেস্ট, স্পেসিফিক আইজিই-ও করা হয়। শুধু তাই নয়, অ্যালার্জির কারণে বছরের পর বছর অনেক পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়। এতে অনেকেই ভোগেন পুষ্টিহীনতায়। তবুও অ্যালার্জি থেকে মুক্তি মেলে না। তবে অ্যালার্জি নিয়ে আর ভাবনা নয়। অ্যালার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিন্তা ভুলে নিম পাতার মিশ্রণের দ্বারা এক মাসের মধ্যে সহজ উপায়ে অ্যালার্জিকে চিরবিদায় জানাতে পারবেন!
আসুন জেনে নিন নিম পাতার মিশ্রণের প্রস্তুত প্রণালী- è এক কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন।
শুকনো নিম পাতা পাটায় গুঁড়ো করে পরিস্কার একটি কাচের পাত্রে ভরে রাখুন।
ব্যবহারের পদ্ধতি : এক চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুঁড়ো এবং এক চা চামচ ভুষি এক গ্লাস পানিতে আধ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। আধ ঘন্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে খেতে হবে।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোওয়ার আগে এই মিশ্রণ খাবেন। è এ মিশ্রণ কমপক্ষে ২১ দিন খেতে হবে। কার্যকারিতা শুরু হতে এক মাস সময় লাগতে পারে। নিম পাতার মিশ্রণ এক মাস খাওয়ার পর আপনার অ্যালার্জি কমে যাবে। তারপর আপনি স্বাভাবিকভাবেই পছন্দের খাবারগুলো যেমন- হাঁসের ডিম, বেগুন, গরুর মাংস, চিংড়ি, কচু, দুধ, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়ো খেতে পারবেন। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, জানেন তো কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। তাই পছন্দের সব খাবারই খাবেন, তবে পরিমিত।
-আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন