বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা সম্পর্কে গত ১১ই এপ্রিল ইনকিলাবের এই কলামে আমি যা লিখেছিলাম সেই ব্যাপারে অন লাইন প্রতিক্রিয়ায় লাইজু নামে এক পাঠক অনুরোধ করেছেন ‘চাকুরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে আপনার একটি লেখা চাই’। আসলে ৮ই এপ্রিল রবিবার কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন শুরু হয় তখন থেকেই এ বিষয়ের ওপর আমি লিখব বলে ভেবে রেখেছিলাম। কিন্তু বিষয়টির চ‚ড়ান্ত নিষ্পত্তি হলো ৪দিন পর, ১২ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার। তত দিনে মঙ্গলবার পার হয়ে গেছে। আজকে লাইজুর অনুরোধ রক্ষা করতে বসেছি। কম্পিউটারের কি বোর্ডে হাত রেখে প্রথমেই একটি হোঁচট খেলাম। বিষয়টি যেন কবিতার ভাষায়, শেষ হইয়াও হইলো না শেষ। ১২ তারিখের পর আজ ১৭ তারিখ মঙ্গলবার। ৬ দিন হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো গেজেট হলো না। গেজেট না হলে বিষয়টি ফাইনাল হলো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের ফ্লোরে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, কোটা পদ্ধতিই বাতিল করা হলো। তিনি বলেছেন, কোটা থাকলেই সংস্কারের প্রশ্ন আসবে। এর আগেও কোটা সংস্কার করতে হয়েছে। এখন আবার সংস্কারের দাবি উঠেছে। অর্থাৎ কিছু দিন পার হবে, আবার নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হবে, আবার সংস্কারের দাবি উঠবে। তাই মাথা ব্যাথা যখন উঠেছে তখন আস্ত মাথাটিই কেটে ফেল। তাহলে আর কোন দিন মাথা ব্যাথা উঠবে না। কোটার ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাই করেছেন। বার বার সংস্কারের দাবি আসে। তাই কোটা ব্যবস্থাই তুলে দাও। তাহলে আর সংস্কারের কোনো দাবি আসবে না। যেমন কথা তেমন কাজ। জাতীয় সংসদে তিনি ঘোষণা করেন, এখন থেকে কোটা ব্যবস্থা বিলোপ করা হলো। ব্যাস, বিষয়টির তো চ‚ড়ান্ত ফয়সালা হয়ে গেল। তাহলে গেজেট প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন?
এখন শোনা যাচ্ছে, নতুন নতুন কিছু কথা। আপনারা জানেন সেই প্রবাদ বাক্য, King’s word is law. অর্থাৎ রাজার মুখের কথাই আইন। আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী মুখে যা বলে দিয়েছেন সেটিই আইন হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রে অবশ্য সেটিই স্বাভাবিক। তবে মুখের কথা যখন আইন হিসেবে বেরিয়ে আসে তখন একটি প্রক্রিয়া অনুসারে সেটিকে বেরিয়ে আসতে হয়। আর সেই বিষয়টি হলো সরকারি গেজেট প্রকাশ। ক্যাবিনেট সচিবকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। গেজেটটি প্রকাশ করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন সচিব বলেছেন, তাকে এখনো কিছু বলা হয়নি। ক্যাবিনেট সচিব বলেছেন, তিনি এ ব্যাপারে এখনো কোনো গাইড লাইন পাননি। এদিকে গত ১৫ই এপ্রিল রবিবার ৯দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটেন এবং সৌদি আর গেছেন। সুতরাং ২৩ বা ২৪ এপ্রিলের আগে গেজেট যে প্রকাশিত হচ্ছে না সেটি এখন নিশ্চিত করে বলা যায়। তার অর্থ হলো, প্রায় দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হবে, তবুও গেজেট প্রকাশিত হবে না। কোটা ব্যবস্থা যদি সত্যি সত্যিই বাতিল হয় তাহলে সে ব্যাপারে গেজেট প্রকাশ করা তো ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার ব্যাপার। সেখানে ১৫ দিনেও সেই কাজটি হচ্ছে না কেন? তাহলে কি ডাল মে কুছ কালা হ্যায়? ব্যাপারটি অনেকটা সেরকমই মনে হচ্ছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোটা ব্যবস্থাই বাতিল হবে। আবার একই নিঃশ্বাসে তিনি একথাও বলেছেন যে, প্রতিবন্ধী এবং অনগ্রসর অঞ্চলের মানুষরা যাতে করে সরকারি চাকরি পায় সে জন্য তিনি একটি বিশেষ ব্যবস্থা রাখবেন। সুতরাং শুধু মাত্র কোটা পদ্ধতি বাতিল হলেই সব কিছু শেষ হলো না। তার সাথে একটি লেজও রয়ে গেল। সেটিও ঐ বাতিল করার গেজেটে লেজ হিসেবে জোড়া দিতে হবে। সেই লেজ জোড়া দেওয়ার কাজটিও তেমন একটা কঠিন নয়। মনে হচ্ছে, এখানে নতুন করে আরো কিছু পয়েন্ট উঠছে।
\দুই\
আমি প্রথমেই বলেছি যে, সব কিছুর শেষ হইয়াও শেষ হলো না। পাঠক লাইজুকে বলছি, লিখতে তো শুরু করেছি। কিন্তু যতই এগুচ্ছি, ততই দেখছি, বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর, সংবেদনশীল, জটিল এবং তাই বেশ কঠিন। গ্রাম-গঞ্জে একটি প্রবাদ প্রবচন রয়েছে। সেটি হলো, ‘উচিত কথায় বন্ধু বেজার’। আপ্ত বাক্যে বলা হয়, সদা সত্য কথা বলিও। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সদা সত্য কথা বলা খুব কঠিন ব্যাপার। যারা কোনো দিন মিথ্যা কথা বলেন না তারাও অনেক সময় যখন সত্য কথা বলতে আড়ষ্টতা বোধ করেন তখন তারা মিথ্যা বলেন না ঠিকই, কিন্তু সত্য চেপে যেতে বাধ্য হন। বাংলাদেশের কলামিস্টদের মধ্যে আমি একমাত্র অধ্যাপক আসিফ নজরুলকেই দেখি, যিনি অপ্রিয় সত্যটিও মাঝে মাঝে বলে ফেলেন। কোটা ব্যবস্থা সম্পর্কেও তিনি বলেছেন যে, ৫ ধরনের কোটা নিয়ে আমরা যত কথাই বলি না কেন, কোটা পদ্ধতির কেন্দ্রবিন্দু হলো মুক্তিযোদ্ধা কোটা। যেখানে মোট কোটা হলো ৫৬ শতাংশ তার সিংহ ভাগ, অর্থাৎ ৩০ শতাংশই বরাদ্দ রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের কোটা হিসেবে। অবশিষ্ট ২৬ শতাংশ কোটার মধ্যে ১০ শতাংশ হলো নারী, ১০ শতাংশ জেলা, ৫ শতাংশ অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী।
কদিন আগে একটি প্রাইভেট টেলিভিশনের টক শোতে আসিফ নজরুল বলেন, যারা বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাগ করে বা অভিমান করে বা ক্ষুব্ধ হয়ে কোটা বাতিল করেছেন তাহলে ভুল বলা হবে। কারণ, কোটা বাতিল করা একটি বিরাট ব্যাপার। এর রয়েছে সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য। তিনি বলেন, ছাত্রদের সাথে ছাত্রীরাও কোটা পদ্ধতির সংস্কারের জন্য রাস্তায় নেমেছেন। বোঝা যাচ্ছে, তাদেরও অর্থাৎ মহিলাদেরও ঐ ১০ শতাংশ কোটায় আর আগ্রহ নেই। আসিফ নজরুলের মতে, কোটা পদ্ধতির ব্যাপারে জনগণ বা ছাত্রদের সত্যিকার কোনো ক্ষোভ যদি থেকে থাকে তাহলে সেটি হলো মুক্তিযুদ্ধের কোটা নিয়ে। এই ক্ষোভ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কোনো অসম্মান দেখানো নয়। মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সম্পর্কে অন্য কিছু বলতে গেলে আমাদেরকে ১০ বার ভাবতে হবে। এজন্যই মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যাপারে কেন আপত্তি আছে সেটি বুঝতে হবে।
তার মতে, আপত্তির ৩টি কারণ আছে। প্রথম কারণটি হলো, মুক্তিযোদ্ধা কোটার কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই। আমাদের সংবিধানের ২৮ এবং ২৯ অনুচ্ছেদে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীরা যে অনগ্রসর সে ব্যাপারে দেশে কোনো বিতর্ক নেই। এমনকি নারীরাও যে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে অনগ্রসর এবং বঞ্চিত সে ব্যাপারেও কারো মনে কোনো সংশয় নেই। মুক্তিযুদ্ধ করেছে সামজের সব শ্রেণির মানুষ। গরীব মানুষরা করেছে, কৃষকের সন্তান করেছে, সমাজের নি¤œ শ্রেণি করেছে, বড় লোকরাও করেছে। মুক্তিযুদ্ধের যে অংশটি ক্র্যাক প্ল্যাটুন, সেখানে তো শুধু বড় লোকদের ছেলেরাই অংশ নিয়েছে। ৭১ বা ৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধা বা তার পরিবার অনগ্রসর বা গরীব ছিল। কিন্তু ৪৬ বছর পর এই পরিবারগুলো কি আজও গরীব আছে? আজও কি তারা অনগ্রসর আছে? আজও যদি আমরা তাদেরকে গরীব বা অনগ্রসর বলি তাহলে তাদেরকে অসম্মান করা হবে।
আসিফ নজরুল দাবি করেন, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা দেওয়ার ব্যাপারে জাতীয় সংসদে যে আলোচনা হয় তিনি তা শুনেছেন। কিন্তু ৭২ সালে জাতীয় সংসদের ঐ ডিবেটে একবারের জন্যও মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা দেওয়ার প্রশ্ন ওঠেনি। একজন জাতীয় সংসদ সদস্যও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা চাননি। আলোচনায় বলা হয়েছে যে, সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যারা নিহত বা পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে তাদের পরিবারকে আমাদের (সরকার) দেখতে হবে।
\তিন\
দ্বিতীয় আপত্তি হলো দুর্নীতি। ১৯৮৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয় ৭০ হাজার। এই সরকারের আমলে প্রথম দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয় ২ লক্ষ ২ হাজার। এর মধ্যে ৬২ হাজার ভ‚য়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে বলে আপত্তি উঠেছিল। সুতরাং এই জায়গায় চরম দুর্নীতির একটি সুযোগ রয়েছে। তার মতে, আওয়ামী লীগের নেতা এবং প্রথম আওয়ামী লীগ সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বলেছেন, বহু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এখনো সার্টিফিকেট পায়নি। শত শত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির জন্য তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
আসিফ নজরুলের মতে, তৃতীয় আপত্তি হলো, মুক্তিযোদ্ধা কোটার মতো এমন Disproportionate কোটা, অর্থাৎ অসমানুপাতিক কোটা দেশে আর নেই। দেশে নারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ। অথচ তাদেরকে দিয়েছেন মাত্র ১০ শতাংশ। দেশে তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লক্ষ। তাদের প্রতি পরিবারে যদি ৫ জন করেও সন্তান থাকে তাহলে তাদের সংখ্যা হয় ১০ লক্ষ। এই সংখ্যা সমগ্র জাতির সমগ্র জনগোষ্ঠীর ১ শতাংশেরও কম। অথচ মহিলারা মোট জনসংখ্যার অর্ধেক অর্থাৎ ৫০ শতাংশ। দেশের জনসংখ্যা যদি হয় ১৬ কোটি তাহলে তারা হন ৮ কোটি। তাদের দেওয়া হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। আর যারা ১ শতাংশেরও কম তাদের দেওয়া হয়েছে ৩০ শতাংশ। এটা কোন ইনসাফ বলে করা হয়েছে?
তার মতে, আরো দুটি আপত্তি রয়েছে। সেগুলো হলো, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরাতো কোটার ভাগিদার হবেই, এখন তাদের নাতি-পুতিদেরও এই কোটার ভাগিদার করা হয়েছে। এই কোটা পাওয়ার কি যোগ্যতা রয়েছে নাতি-পুতিদের? নাতি-পুতিদের দাদা বা নানা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। কিন্তু সেই মুক্তিযোদ্ধা দাদা বা নানার নাতি-পুতি হওয়ার সুবাদে তারা কেন কোটা সুবিধা পাবেন? এই সুবিধা কি অনন্ত কাল চলবে? একজন নিহত বা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে চাকরি দিলেই তো ঐ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সাহায্য করা হয়। সেখানে আবার নাতি-পুতি কেন? আরো এসেছে বয়স বৃদ্ধি করার প্রশ্ন। মুক্তিযোদ্ধার বয়স না হয় বাড়ানো যেতে পারে। বিশেষ বিচেনায় তার ছেলের বয়সও না হয় বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু তার নাতি-পুতির বয়স কোন বিবেচনায় বাড়ানো হবে?
\চার\
ওপরে যে কারণগুলো উল্লেখ করা হলো সেই কারণগুলির ফলেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোটার বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ ও বঞ্চনার অনুভূতি। ৩০ শতাংশ কোটার সুবিধা দেওয়া হয়েছে ২ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে। এই পর্যায়ে সঞ্চালক জিল্লুর রহমান প্রশ্ন তোলেন যে, ২ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধাকে কোটা সুবিধা দেওয়া হোক, আপত্তি নেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে যে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হলেন তাদের জন্য কী করা হয়েছে? তাদের জন্য কি কোন কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে? এই প্রশ্নে সঞ্চালকের বক্তব্যকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এখন তারাও যদি কোটা সমর্থন করেন তাহলে ৩০ শতাংশের সাথে আরো ৭০ শতাংশ কোটা দিতে হবে। বর্তমান বাস্তবতায় সেটি কি সম্ভব? তিনি বলেন, কোটা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বেসামরিক চাকরিতে। সামরিক বাহিনীতে যদি মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখার দাবি করা হয় তখন? উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য কোটা রাখা হবে না কেন? জাতীয় সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে কোটা রাখা হবে না কেন? তিনি বলেন, মন্ত্রিসভাতেও ৩০ শতাংশ মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধার কোটায় রাখার দাবি করা যেতে পারে।
শেষ কথা হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসায় কে বা কারা হামলা করেছে? এই হামলা অত্যন্ত ঘৃণ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এই হামলার নিন্দা করেছেন। আমরাও এই হামলার তীব্র নিন্দা করি। কিন্তু তার আগে সন্ধ্যা থেকে রাত ১০/১১টা পর্যন্ত কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ যেরকম বর্বর আক্রমণ চালিয়েছে, জল কামান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, ৩ শতাধিক টিয়ার গ্যাস মেরেছে, কয়েক শত ছররা গুলি মেরেছে, নৃশংসভাবে লাঠি পেটা করেছে, সেই সব বর্বর পুলিশী জুলুমের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির মুখে কোন রা নেই কেন? কেন তারা পুলিশের লাঠি পেটার সমালোচনায় মুখে তালা মেরে থাকেন?
ভাই লাইজু, কলাম লেখার ব্যাপারে আমার নিকট থেকে আপনাদের যে বিরাট প্রত্যাশা, সেই প্রত্যাশা পূরণ করার যোগ্য আমি নই। এই লেখা পড়ার পর দেখলেন কত প্রশ্ন। এতো প্রশ্নের মাঝে আজ আমি আপনাদেরকে কোটা ব্যবস্থার ওপর একটি ভালো কলাম উপহার দিতে সক্ষম হলাম না। আমার এই অক্ষমতা আপনারা ক্ষমা সুন্দর চোখে গ্রহণ করবেন।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন