ভুল অপারেশনে রংপুরের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আর এ খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলার শিকার হয়েছেন গনমাধ্যম কর্মীরা। তাদের মধ্যে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
জানা গেছে, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শালটি গোপালপুর গ্রামের বাতেন আলী গত সোমবার নগরীর কেন্দ্রীয় বাস র্টামিনাল এলাকার জনসেবা ক্লিনিকে তার চার বছরের শিশু বাবুকে হার্ণিয়া অপারেশনের জন্য ভর্তি করান। ক্লিনিক মালিক ডাঃ মোসাদ্দেক দেখে তাকে অপারেশন করাতে হবে মর্মে জানান। তিনি রাজী হলে টাকা-পয়সা জমা দেন। পরে বাবুকে অপারেশনের জন্য থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। থিয়েটারে নেয়ার দীর্ঘ সময় পরও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তার ছেলেকে দেখতে না দেয়ায় তারা তাদের শিশুকে দেখতে চান। কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাদের দেখতে দেয়নি। পরে তারা তাকে ক্লিনিকেও খুঁজে পাননি। এতে স্বজনরা আশঙ্কা করেন অপারেশন করতে শিশুটি মারা গেছে। এ নিয়ে তারা কান্নাকাটি করতে থাকলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাদের সান্তনা দেয় এবং বলে তাদের ছেলে ভালো আছে। সময় হলে দেখতে পাবেন। এভাবে পরেরদিনও পেরিয়ে গেলে শিশুর বাবা-মা কান্নাকাটি করে তাদের বাবুকে দেখতে চান। কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে রাখে।
বুধবার রাতে সাংবাদিকরা খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গেলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ মুল গেট বন্ধ করে সাংবাদিকদের ভিতরে যেতে বাধা দেয়। সাংবাদিকরা ভিতরে ঢুকতে চাইলে তাদের সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং মারপিট শুরু করে। এতে গুরুতর আহত হন এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান একে এম সুমন। ভাংচুর করা হয় কয়েকটি ক্যামেরা। গুরুত্বর আহত অবস্থায় সুমনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। পরে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। কেউ কেউ বলছেন শিশুটি এখন অন্য একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছে। চিকিৎসা অবহেলায় শিশু মারা গেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ শিশুটিকে কোথায় রাখা হয়েছে তা অনুসন্ধান করছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন