ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে গভীর রাতে ছাত্রীদের বের করে দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
আজ শুক্রবার পৃথক বিবৃতিতে তারা এই উদ্বেগ জানায়। ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনাটিকে অত্যন্ত দু:খজনক এবং বেদনায়ক মন্তব্য করে সংগঠন দুটি বলছে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আগে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
ঢাবি সাদা দল
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল থেকে মাঝ রাতে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়ার খবরে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। গণমাধ্যমে প্রচারিত এ সংবাদ যদি সত্যি হয় তবে এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেদনাদায়ক।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে এই ধরনের নির্বতনমূলক কর্মকান্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়। মনে রাখতে হবে সব শিক্ষার্থীই আমাদের কাছে সন্তানতূল্য। কোনো শিক্ষার্থী অপরাধ করলে তাকে শাস্তি দেয়া যায়। কিন্তু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আগে পক্ষপাতহীন, স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা দায়িত্বশীল, নিরপেক্ষ ও মানবিক আচরণ প্রত্যাশা করি।
শিক্ষার্থীদেরকে বলবো নিজেদের মাঝে সংঘাত পরিহার করে প্রতিহিংসার জন্ম নেয় এমন আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে। মনে রাখতে হবে প্রতিহিংসা কেবলই প্রতিহিংসার জন্ম দেয়, সমস্যার সমাধান করে না।
সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো: আবদুর রশীদ, অধ্যাপক ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান ছাড়াও বিবৃতিদাতাদের অন্যমত হলেন- অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. মো. আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, ড. মোঃ এমরান কাইয়ুম, মো. আল আমিন, রাশীদ মাহমুদ, অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, মো. মাহফুজুল হক, ড. মো. আসলাম হোসেন, ড. হায়দার আলী, ইসরাফিল প্রামাণিক রতন, ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ড. মোঃ গোলাম রব্বানী, ড. লায়লা নূর ইসলাম, ড. মামুন আহমেদ, ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, ড. নূরুল আমিন, ড. কামরুজ্জামান, ড. মো. এনামুল হক, ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া, ড. মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া, ড. মোঃ মোজাম্মেল হক, আ কা ফিরোজ আহমদ, ড. মোঃ নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সফিউল্যাহ, ড. বোরহান উদ্দীন খান, ড. আবদুল আজিজ, তাহমিনা আখতার, ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, হোসনে আরা বেগম, ড. মোঃ আবুল বাশার, ড. শেখ নজরুল ইসলাম, ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, ড. মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী, মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক এ বি এম শহিদুল ইসলাম, ড. সৈয়দ আলী আহসান, ড. নেভিন ফরিদা, ড. মোবাশ্বের মোনেম, ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক, ড. মোঃ আব্দুল কাদের, ড. মোঃ আবদুর রব, ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, ড. এএ মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী, ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, ড. জাহিদুল ইসলাম, ড. মো. শামসুল আলম, দেবাশীস পাল, ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মহব্বত আলী, ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড. যুবাইর মোহাম্মদ এহসানুল হক, ওমর ফারুক, ড. মঈনুল ইসলাম প্রমুখ।
ইউট্যাব
এদিকে কোটা সংস্কারের মতো ন্যায়সংগত দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্রীদের গভীর রাতে হল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনাকে অন্যায় বলে অভিহিত করেছে ইউট্যাবের ৬২৫ জন শিক্ষক। মধ্য রাতে ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক ও অমানবিক বলে মন্তব্য করেন শিক্ষকেরা।
কেননা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের ওপরও বর্তায়। আমরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিদাতাদের অন্যতম হলেন, ইউট্যাবের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. ওবায়দুল ইসলাম, ড. ফরিদ আহমেদ, ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. শামসুল আলম সেলিম (জাবি), ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট), ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট), অধ্যাপক তোজাম্মেল (ইবি), কৃষিবিদ অধ্যাপক আবদুল করিম, ডা. মো: সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন