পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মো. গফ্ফর (৩০) নামে এক ইমামকে গাছের সাথে বেঁধে পিটিয়ে ও মাথা ন্যাড়া করে দিল মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ রাসেল (২৮)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ মির্জাগঞ্জ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। সংবাদ পেয়ে মির্জাগঞ্জ থানার এসআই মো. সাইদুল ইসলাম ও এএসআই বাবুল ইমামকে উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে মো. আনসার (৩৪), মো. জলিল (৪০) নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় রাসেল পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃতরা পটুয়াখালীর ছোট বিঘাই গ্রামের মো. রুস্তুম আলীর ছেলে ও রাসেলের আত্মীয়। পরে গফ্ফরকে চিকিৎসার জন্য মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানায় তার বড় ভাই মো. রাজ্জাক বাদী হয়ে আনসার, জলিল ও রাসেল সহ পাঁচ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। জানা যায়, গফ্ফর উপজেলার কাকড়াবুনিয়ার সোনাপুরা গ্রামের লতিফ হাওলাদারের ছেলে ও বেতাগী উপজেলার মিয়ার হাট গ্রামের একটি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব। নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে গফ্ফর বলেন, আমি একজন ইমাম ও তার পাশাপাশি বিভিন্ন তদবির দিয়ে থাকি। সে খবর পেয়ে ওই দিন মির্জাগঞ্জের কাওসার নামে এক ব্যক্তি ফোন করে বলে আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে অসুস্থ; তাড়াতাড়ি চলে আসুন। আমি মির্জাগঞ্জ কপালভেড়া পর্যন্ত গেলে রাসেল একটি মটর সাইকেল যোগে চরের দিকে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে বলতে থাকে- তুই কুফরি দিস। এই বলে রাসেলসহ ৪/৫ জন পাইপ দিয়ে আমাকে পেটাতে থাকে এবং মাথা ন্যাড়া করে মল খাইয়ে দেয়। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন