গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষা চলাকালিন পরীক্ষার খাতা দেখে লিখতে না দেয়ায় ধারালো চাকু দিয়ে আলিম পরীক্ষার্থী আশিকুন্নবী (২১) কে এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করেছে পরীক্ষার্থী সাদেকুল ও সাগর সহ ৩জন। আশিকুন্নবীকে রক্ষা করতে তার স্ত্রী একই শ্রেণির পরীক্ষার্থী সুরমা নাহার (১৯) এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট মারপিট সহ শ্লীলতাহানী করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থী গোবিন্দগঞ্জ পৌর সভার ঘোষ পাড়া মহল্লার শামছুল আলম রানুর পুত্র গোলাপবাগ আলিম মাদরাসার ছাত্র আশিকুন্নবী’র উত্তরপত্র দেখে লিখতে চায় একই কক্ষের পরীক্ষার্থী মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আজাহার আলীর পুত্র সাদেকুল ইসলাম (২২)। আশিকুন্নবী উত্তরপত্র দেখাতে অস্বীকৃতি জানালে সাদেকুলের সাথে কথা কাটি কাটির একপর্যায়ে সাদেকুল ক্ষিপ্ত হয়ে তার বন্ধু একই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের পুত্র সাগরসহ অজ্ঞাত ৩জন ধারালো চাকু, হাসুয়া নিয়ে এসে সন্ত্রাসী কায়দায় আশিকুন্নবীর মাথা, পিঠে ছুরিকাঘাত করতে থাকে। এসময় তার স্ত্রী ও একই শ্রেণির পরীক্ষার্থী সুরমা নাহার স্বামীকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। পরে অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা তাদের কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কেন্দ্র সচিব এবাদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে পরীক্ষা শেষে কক্ষের বাহিরে যা কেন্দ্র সচিব হিসেবের এখতিয়ারে নয়। এ ঘটনায় আহত পরীক্ষার্থীর পিতা শামছুল আলম রানু বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বলে ওসি(তদন্ত)শফিকুজ্জামান শুক্রবার বিকালে নিশ্চিত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন