ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলের যে তিন ছাত্রীকে রাতের আঁধারে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তারা হলে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান।
শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ড. সাবিতা রেজওয়ানা।
তিনি বলেন, মেয়েদের কাউন্সিলিং করার জন্য অভিভাবকরা নিয়ে গিয়েছিলেন, আবার দিয়ে গেছেন। তিনজন ছাত্রীর মধ্যে শুক্রবার দুপুরে দুইজন এবং বিকেল ৪টার দিকে আরেকজন হলে ফিরে এসেছে। এদের মধ্যে দুইজনের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. একেএম গোলাম জানান, ওই তিন ছাত্রী এখন হলে আছে।
প্রসঙ্গত, কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়ানো অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে সুফিয়া কামাল হল থেকে তিন ছাত্রীকে অভিভাবকদের সঙ্গে বের করে দেওয়া হয়।
তিন ছাত্রী হলেন- গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শারমীন শুভ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার লিজা ও গণিত বিভাগের পারভীন। রাত ১০টার দিকে পারভীন ও লিজা এবং রাত ১২টার দিকে শুভকে হল ছাড়তে হয়। অভিভাবকরা এসে তাদের নিয়ে যান। এ ছাড়া পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিমির বাবা ধামরাই থেকে সুফিয়া কামাল হলে উপস্থিত হন রাত সাড়ে ১২টার দিকে। পরে তিনি একাই হল অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর মধ্য রাতেই সুফিয়া কামাল হলের সামনে বিক্ষোভ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে গঠিত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘কোনো তদন্ত ছাড়াই হলের ছাত্রীদের বের করে দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিলাম। প্রশাসন আশ্বাসও দিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন সেই ওয়াদা ভঙ্গ করেছে।
এদিকে ছাত্রীদের বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে শিগগির ছাত্রীদের হলে ফিরিয়ে নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সবিতা রেজওয়ানা রহমানের পদত্যাগের দাবি জানান তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন