শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

তুরাগ বাসে ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টা, সড়ক অবরোধের হুমকি শিক্ষার্থীদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:৩২ পিএম

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে বেসরকারি উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় দোষী চালক হেলপার ও কনডাক্টরের গ্রেফতার চায় শিক্ষার্থীরা।

গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও তুরাগের অর্ধশত বাস আটকের পর দোষীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেয় ‘উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়’ ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা। আজকে দুপুরের মধ্যে বাসটির দোষী চালক, হেলপার ও কনডাক্টরকে গ্রেফতার না করলে সড়ক অবরোধের হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ঘটনার পর উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মানববন্ধনের সময় উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী গত রোববার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক তুরাগ বাস আটক করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আসামি গ্রেফতার এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দেয়।

সহপাঠী তারিকুল ইসলাম সোহাগ বলেন, শ্লীলতাহানির চেষ্টার বিচার না হলে অপরাধীরা প্রশ্রয় পাবে। কাল-পরশু একই ঘটনা ঘটবে অন্য কোনো নারীর সঙ্গে। আমরা তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।

তিনি বলেন, গতকাল রাত ১০টার পর আরও অনেকগুলো বাস আটকানো হয়েছে। আগামীকাল তুরাগের কোনো বাস রাস্তায় চলবে না বলে মালিক পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দোষীরা আটক না হওয়া পর্যন্ত বাসের চাবিগুলো আমরা হস্তান্তর করবো না।

আজকের ওই ঘটনার বাসটির দোষী চালক, হেলপার ও কনডাক্টর গ্রেফতার না হলে সড়ক অবরোধ করা হবে বলে জানান তিনি।

উত্তরা পূর্ব থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ওই ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আশা করছি ঘটনার সাথে জড়িতরা গ্রেফতার দ্রুতই হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দীক জানান, গতকালই মামলা নেয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বামী জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ১০/৩০ ধারায় ওই মামলা দায়ের করেন। মামলায় তুরাগ পরিবহনের ওই বাসের অজ্ঞাত চালক, হেলপারসহ তিনজনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা নং ২৬। মামলায় আসামিদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে। আসামি সনাক্ত হলেই তাদের গ্রেফতার করা হবে।

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী শনিবার দুপুরে উত্তরা ৬নং সেক্টরে বেসরকারি উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য উত্তর বাড্ডা এলাকা থেকে তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। এ সময় বাসে যাত্রী ছিল মাত্র ৭-৮ জন। এ সময় নাটকীয়ভাবে পরবর্তী স্টপেজগুলোতে বাস সামনে যাবে না বলে যাত্রীদেরকে নামাতে থাকে এবং নতুন কোনো যাত্রী উঠানো বন্ধ রাখে। ওই ছাত্রী আশঙ্কা ও সন্দেহবশত বাস থেকে নামার চেষ্টা করলে বাসের হেলপার দরজা বন্ধ করে দেয়। কনট্রাক্টর তার হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। বাসের কনট্রাক্টর-হেলপারের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে বেড়িয়ে আসেন। এরপর অন্য বাসে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে কর্তৃপক্ষ ও সহপাঠীদের বিষয়টি জানান।

পরবর্তীতে সহপাঠীরা ওই বাসটি আটক ও হেলপার কনডাক্টরকে আটকের দাবিতে রাস্তায় মানববন্ধন করে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা তুরাগ পরিবহনের অর্ধশত বাস আটকে চাবি নিয়ে নেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন