যক্ষ্মা বা টিবি রোগটি হয়ে থাকে প্রধানত মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে। সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যক্ষ্মা রোগের প্রকোপ বেশি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও যক্ষ্মা অনেকটা বেশি। ৪৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এ রোগ বেশি হয়ে থাকে। তবে কম বয়সেও যক্ষ্মা হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগী, অ্যালকোহল আসক্ত ও রোগপ্রতিরোধ-ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রোগী যাদের এইচআইভি সংক্রমণ রয়েছে, তাদের টিবি বা যক্ষ্মা হওয়ার আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। যক্ষ্মা সংক্রমিত ব্যক্তির থুথু, কফ ইত্যাদির মাধ্যমে আশপাশে ছড়ায়।
টিবি রোগের লক্ষণ : অনেক দিন ধরে কাশি ভালো না হওয়া। * কফের সঙ্গে রক্ত যাওয়া। * হঠাৎ করে শরীরের ওজন কমে যাওয়া। * রাতে শরীরে ঘাম হওয়া ও জ্বর আসা। এমনকি ঘুমের মধ্যেও শরীরে ঘাম হতে পারে।
যক্ষ্মা রোগীদের দাঁতের চিকিৎসা করার সময় অনেক সময় রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ানের শরীরে জীবাণু বিস্তার লাভ করতে পারে। বিশেষ করে, যদি সংশিষ্ট চিকিৎসকের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল থাকে, তাহলে এ ধরনের আশঙ্কা থেকেই যায়। পালমোনারি টিউবারকিউলোসিস বা ফুসফুসের যক্ষ্মায় মুখে সংক্রমণ দেখা যেতে পারে। এইচআইভি আক্রান্ত রোগী, যাদের যক্ষ্মা হয়, তাদের ক্ষেত্রেও মুখে সংক্রমণের সৃষ্টি হয়ে থাকে। মুখে, বিশেষ করে জিহ্বার উপরিভাগে দীর্ঘমেয়াদী ঘা দেখা দিতে পারে। যক্ষ্মার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রিফ্যামপিছিন সেবনের কারণে রোগীর থুথু লাল রঙের হতে পারে আর রোগীর প্রস্রাবের রঙ কমলা হতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। ওষুধের কারণে সাধারণত এমনটি হয়ে থাকে। পালমোনারি টিউবারকিউলোসিস রোগীর ক্ষেত্রে এ রোগের চিকিৎসা করার পরই দাঁতের চিকিৎসা করা উচিত। যদি সম্ভব না হয় তাহলে চিকিৎসক ও সহকারীদের মাস্ক পরে বিশেষ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করতে হবে। দাঁতের চিকিৎসা করার সময় রাবার ড্যাম ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া রোগীর শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে জীবাণু যাতে বিস্তার লাভ করতে না পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ, ফুসফুসের যক্ষ্মা রোগের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। যক্ষ্মা রোগীর দাঁতের চিকিৎসায় জেনারেল অ্যানেসথেসিয়া দেয়া ঠিক নয়, যেহেতু এ সময় রোগীর ফুসফুসের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে না।
ষ ডাঃ মো. ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল : ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল : ফৎ.ভধৎঁয়ঁ@মসধরষ.পড়স
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন