শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কুমিল্লা নগরজুড়ে চলছে উন্নয়ন কাজ

সহযোগিতা চাইলেন মেয়র সাক্কু

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৮, ৮:১১ পিএম

জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা- জাইকা, ওয়ার্ল্ডব্যাংক ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ফান্ডের আওতায় নগর জুড়ে চলছে উন্নয়ন কাজ। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তা, ড্রেন, কালভার্টসহ এলইডি সড়কবাতি ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে বেশকটি প্যাকেজে কাজ শুরু হয়েছে। সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এসব উন্নয়ন কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ করতে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
কুসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলছে উন্নয়ন কাজ। কোথাও সম্পন্ন হয়েছে, কোথায় চলমান, কোথায় শেষ পর্যায়ে। উন্নয়ন কাজের কারণে চলাচলে সাময়িক অসুবিধা দেখা দিলেও একসঙ্গে এতোসব উন্নয়ন কাজে খুশি নগরবাসী। বিশেষ করে নগরীর যেসব এলাকায় বর্ষায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হতো সেখানকার ড্রেনগুলো খানিকটা উচু করে নির্মাণ করা হচ্ছে, কোথাও নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এসব ড্রেনের উপরিভাগে উন্নত পাটাতন বা ¯ø্যাব নির্মাণ করা হয়েছে। যা চলাচলের জন্য ফুটপাত হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। কোন কোন এলাকায় রাস্তাও প্রশস্ত করা হয়েছে। নগরীর লাকসাম রোড, মনোহরপুর, টমসমব্রীজ, চর্থা, নওয়াববাড়ি এলাকায় বড় ড্রেনের সংস্কার কাজের পাশাপাশি সীমানা দেয়াল নিমার্ণের পর তাতে এসএস পাইপের রেলিং নগরবাসীর নজর কেড়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পিলার বসানো হচ্ছে। যাতে স্থান পাবে অত্যাধুনিক এলইডি বাতি। গোটা নগরীকে এলইডি বাতির আওতায় এনে রাতের কুমিল্লাকে দেয়া হবে এক অন্যরকম আলোকোজ্জ্বল রূপ। নগরীর উন্নয়ন কাজগুলো অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে হচ্ছে। কাজের মানও ভালো। এসব কাজ জাইকা ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা রিতীমত তদারকি করছেন। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা আগে খাল খনন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। একাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। কার্যাদেশ এলেই কাজ শুরু হবে। নগরবাসীর জন্য এটি হবে একটি বড় প্রাপ্তি। খাল খননের কাজটি যথাসময়ে শুরু করে শেষ করতে পারলে নগরীতে পানিবদ্ধতার দুর্ভোগ পুরোদমেই কেটে যাবে।
কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে নগরীর ভাঙ্গাচোরা ও অধিক ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, ড্রেন, কার্লভাটের সংস্কার এবং মেরামত কাজ একই সঙ্গে শুরু হওয়ায় নাগরিক দুর্ভোগ কিছুটা হচ্ছে। বড় ধরণের উন্নয়নের স্বার্থে এটা সবাইকে একটু সহ্য করতে হবে। এজন্য নগরবাসীর ধৈর্যধারণ এবং এধরণের উন্নয়নে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। উন্নয়ন কাজ শেষ হলে এর সুফল নগরবাসী আনন্দের সাথেই ভোগ করতে পারবেন। উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্যদিয়ে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন