রাজশাহী ব্যুরো : নগরীর শিরোইল কলোনীর ধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রেমিকের সঙ্গে খুলনা খেকে দেখা করতে রাজশাহী মুসরইল এলাকার একটি লিচু বাগানে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক যুবতি। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। তার বাবা-মা ঢাকায় থাকায় তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা আসার পর মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান চন্দ্রিমা থানার ওসি।
ধর্ষণের শিকার ওই যুবতির অভিযোগের বরাত দিয়ে ওসি জানান, মুসরইলের রং মিস্ত্রি গাজু মিয়ার ছেলে আকাশের সঙ্গে ওই নারীর মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সর্ম্পকের জের ধরে গত ১ মে ওই নারী রাজশাহীতে আসে। দুপুরে আকাশের দুই বন্ধুর সঙ্গে ওই নারী গাজু মিয়ার বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে ওই নারী আকাশের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কে কথা জানায় এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আকাশের বাবা-মা এতে রাজি না হয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে আকাশের দুই বন্ধু ওই নারীকে নিয়ে চলে যায়। রাতে স্থানীয় একটি লিচু বাগানে রেখে রাতভর ধর্ষণ করা হয়।
গত ২ মে সকালে ওই নারী থানায় গিয়ে জানায় সে ধর্ষনের শিকার হয়েছে। চার যুবক তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করে। পরে তাকে ওসিসির হেফাজতে দেয়া হয়। তবে এ ঘটনার বিষয়ে আকাশের বাবা গাজু মিয়া বলেন, তার ছেলে এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না। আকাশের দুই বন্ধু ওই মেয়েকে রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে নিয়ে যায়। সে তার বাড়িতে গিয়ে আকাশের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ওই মেয়ের বয়স প্রায় ৩৫ বছর। আর তার ছেলে আকাশের বয়স ১৫ বছর। সে নবম শ্রেণীর ছাত্র। ছেলের বয়স মেয়ের অর্ধেকের কম তাই তাদের দুপুরে খাওয়ানোর পর বাড়ি থেকে চলে যেতে বলা হয়। আকাশের দুই বন্ধু ওই মেয়েকে নিয়ে চলে যায়। এর পর কি হয়েছে সে ব্যাপারে তার কিছু জানা নেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন