বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টাকে দুর্বলতা ভাববেন না : পিয়ংইয়ং

| প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও অব্যাহত চাপের কারণেই উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে সম্মতি দিয়েছে জানিয়ে ওয়াশিংটনের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। জনমতকে বিভ্রান্ত না করতেও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে তারা জানিয়েছে, দেশটির শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টাকে যেনও দুর্বলতা ভাবা না হয়। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ-এর বরাত দিয়ে এই প্রতিক্রিয়ার খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মস‚চি নিয়ে বিতর্কের জেরে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কবলে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পুরোপুরি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে সম্মতি দেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তবে কিভাবে এই নিরস্ত্রীকরণ অর্জিত হবে তা ওই বৈঠকের ঘোষণায় ছিল না। এই বৈঠকের পর আগামী মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে কিম জং উনের। ওয়াশিংটন দাবি করছে, যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপ এবং অবরোধের কারণে উত্তর কোরিয়া এখন আলোচনায় রাজি হচ্ছে। তবে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে কেসিএনএ বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় কৌশলগত সরঞ্জাম মোতায়েন ও মানবাধিকার ইস্যু তুলে যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তর কোরিয়াকে প্ররোচিত করার চেষ্টা করছে। এই ধরণের কাজ চলমান থাকা উচিত হবে না। কারণ তাহলে এটাকে আলোচনার জন্য কষ্টার্জিত পরিবেশ নষ্টের ভয়ঙ্কর প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হবে। কেসিএনএ-কে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাদের শান্তিপ্রিয় অভিপ্রায়কে ওয়াশিংটন দুর্বলতা, চাপ আর সামরিক হুমকির ফল ধরে নিয়ে ভুল হিসাব কষলে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ইস্যু সমাধানে তা সহায়ক হবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, আগের প্রশাসনগুলোর মতো ভুলের পুনরাবৃত্তি না করে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ ও অবরোধ অব্যাহত রাখবেন তিনি। শুক্রবার ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চুং ইয়ো-ইয়ংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতের পর হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে দুই নেতা তাদের প্রতিরক্ষা মনোভাব বদল করবেন না। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Arif sheikh ৭ মে, ২০১৮, ৪:২০ পিএম says : 0
আধো হবে বলে মনে হয় না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন